‘চিরদিনি তুমি যে আমার’ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। গল্প, চরিত্র, রোম্যান্স—সবটাই মিলিয়ে ধারাবাহিকটি দ্রুতই হয়ে ওঠে চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোজেক্ট। তবে ছোটপর্দার এই রঙিন দুনিয়ার আড়ালেই কত অজানা গল্প লুকিয়ে থাকে, তা আবারও সামনে এল। ক্যামেরার সামনে যেখানে রূপকথা চলে, সেখানে ক্যামেরার পিছনে নাকি জমে উঠছিল একের পর এক উত্তেজক ঘটনা।
জি বাংলার এই ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই টিআরপির দৌড়ে নিজেকে শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। পরিবারভিত্তিক কাহিনি, রোম্যান্টিক মুহূর্ত, আর দিতিপ্রিয়া–জিতুর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি দর্শকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। চ্যানেলও ধারাবাহিকটির সাফল্যে ভর করে আরও বড় চমকের পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু সেই জায়গাতেই নেমে এল খারাপ খবর।
ধারাবাহিক চলছিল বেশ। কিন্তু হঠাৎ নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায় নায়ক জিতু কমলকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন—রোম্যান্টিক সিনে কোনওভাবেই শারীরিক স্পর্শ চলবে না। ক্যামেরার কারসাজিতে হয়তো কিছুদিন চলে যেত, কিন্তু এতে নাকি অপমানিত বোধ করেন জিতু। তাঁর অভিযোগ—অবিরাম শর্ত আর আচরণে নাকি কাজ করাই কঠিন হয়ে উঠেছিল। ফলে তিনি ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সমস্যা আরও গভীর হয় যখন নায়িকা অভিযোগ করেন—রাতবিরেতে জিতু নাকি তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতেন। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। কিছুদিনের জন্য ‘সমাধান’ হয়েছে বলে জানা গেলেও ভিতরে ভিতরে নাকি বিরোধ থেকেই গিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ “আমি যখন মেকআপ রুমে থাকি, তখন একটা ছোট্ট লাইট জ্বালিয়ে মেডিটেশন করি! ওই ছোট্ট আলোটাই আমাকে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে! অনেকেই ভাবে আমি হয়ত সন্ন্যাসী হয়ে গেছি” জীবন নিয়ে অকপট জিতু
সূত্রের খবর সেটে নাকি প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছিল। জিতু সময়মতো সেটে পৌঁছে গেলে দিতিপ্রিয়া ঘণ্টাখানেক দেরিতে পৌঁছোচ্ছেন, ঘনিষ্ঠ শট থাকলে তা নিজের সুবিধামতো করতেই জোর দিচ্ছেন—এমনই দাবি উঠছে। প্রযোজনা সংস্থা নাকি একপেশে, এমন অভিযোগও তুলেছেন জিতু। সব মিলিয়ে ধারাবাহিকটির ভবিষ্যৎ এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
