জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সুস্মিতার যদি কোনও অসুবিধা হয়, আমারও অসুবিধা হবে…সমাজদার কো ইশারা হি কাফি হ্যায়!” সাহেবের অকপট স্বীকারোক্তিতে নতুন করে জোরালো প্রেমের গুঞ্জন! এটা কি সত্যিই বন্ধুত্ব, না আরও কিছু? অবশেষে সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন কি অভিনেতা?

টেলিপাড়ার নিত্য সক্রিয় আলোচনায় এখন জায়গা করে নিয়েছে ‘সাহেব ভট্টাচার্য’ (Saheb Bhattacharya) আর ‘সুস্মিতা দে’র (Susmita Dey) নাম। অভিনয়ের বাইরে তাঁরা আদৌ প্রেমে পড়েছেন কি না, এই নিয়েই নেটপাড়া প্রায়ই হয় তোলপাড়। অথচ দু’জনের কেউই সেভাবে কিছুই বলেন না। বরং নানা জল্পনার মাঝেই সমাজ মাধ্যমে তাঁদের কিছু পোস্ট বা উপস্থিতির ভিত্তিতে অনুরাগীরা নিত্য নতুন প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে সম্প্রতি সুস্মিতার তরফে পোস্ট করা রিল এখন চর্চায়। যেখানে সাহেবের পরিবারকেও দেখা গেছে তার পরিবারের সঙ্গে!

সেই ভিডিও থেকেই উঠেছে বাগদানের গুঞ্জন। যদিও এই জল্পনাকে সরাসরি নাকচ করেছেন সুস্মিতা। তিনি জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর সময়ের একটি পুরোনো ভিডিও পোস্ট করাতেই সবাই ভুল বুঝেছেন। তবে, বাগদানের এই গুঞ্জনেই নতুন করে উঠে এসেছে, গত বছরই প্রকাশ্যে আসে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন। অনির্বাণ রায়ের সঙ্গে পাঁচ বছরের প্রেম, একসঙ্গে থাকা, সবকিছুই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু স্টার জলসার ‘কথা’ ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু হওয়ার পরই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়!

এরপর অনির্বাণের একের পর এক ইঙ্গিতময় পোস্ট, সাহেব সুস্মিতার সম্পর্কের গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দেয়। অবশ্য সুস্মিতা নিজে পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, কোনও সম্পর্কই তৃতীয় ব্যক্তির জন্য নষ্ট হয়নি সম্পর্ক। অন্যদিকে সাহেব সুস্মিতার অনস্ক্রিন-অফস্ক্রিন রসায়ন নিয়ে দর্শকদের উৎসাহ বরাবরই তুঙ্গে। ধারাবাহিকের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা বাড়লেও তাঁরা বহুদিন ধরেই ‘শুধুমাত্র বন্ধু’ বলেই দাবি করে এসেছেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাহেবের বক্তব্যে নতুন ইঙ্গিত পাচ্ছেন বলে মনে করছেন দর্শকরা!

বরাবরের মতো সুস্মিতার সঙ্গে দারুন রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই, প্রথমে তিনি বন্ধুত্বের কথাই বলেন। তবে পরে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে জানান, প্রথমদিকে সুস্মিতার সঙ্গে তাঁর কোনও কথাবার্তা হতো না। শুটিংয়ে অস্বস্তি কাটাতে আগে আলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সাহেবের ভাষায়, “টেলিভিশন আমার খুব একটা পরিচিত জায়গা নয়। বড়পর্দায় ছোট থেকে যতটা সাবলীল, ছোটপর্দার ক্ষেত্রে শুরুতেই ততটাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল। ধারাবাহিকের সমস্ত কুশলীদের আগে থেকে চিনলেও কথাবাত্রা হয়নি তেমন।

সুস্মিতার সঙ্গেও প্রথম দিকে আমার কোনও কথা হতো না। ফ্লোরে আসতো, শুটিং করত আবার মেকআপ রুমে চলে যেত। একসঙ্গে সিনগুলোতে আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়বো ভেবেই ওর সঙ্গে আলাপ করি, তারপরে আড্ডা দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে আমরা, ধারাবাহিকের সকল সদস্যই খুব ভালো বন্ধু। সুস্মিতার ক্ষেত্রে আমি ওকে জীবনের সিদ্ধান্তগুলো নিতে বা জড়তা কাটাতে একটু সাহায্য করেছি। অভিনয়ের দিক থেকেই হোক বা জীবনের দিক থেকেই, ওর থেকে আমি অনেক বেশি অভিজ্ঞ।

সেই জন্যই ওকে একটু সাহায্য করেছি, সেটে ওর খেয়াল রেখেছি। ওর যদি কোনও রকম অসুবিধা হয় তাহলে আমারও অসুবিধা হবে, ধারাবাহিকেরও ক্ষতি হবে। আর বাকিটা বললে, সমাজদার কো ইশারা হি কাফি হ্যায়!” এই শেষ লাইনটাই যেন নেটিজেনদের সন্দেহ আরও গাঢ় করেছে। অনেকে মনে করছেন, এতদিন যেটাকে তাঁরা ‘বন্ধুত্ব’ বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন, সেটা হয়তো আরও একটু গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করছে। যদিও প্রকাশ্যে কোনও স্বীকারোক্তি নেই, অনুরাগীদের জল্পনা থামার লক্ষণও নেই!

Piya Chanda