কয়েক মাস আগেই দিতিপ্রিয়া রায়ের অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা জিতু কামালের। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের মধ্যে প্রকাশ্যে মতবিরোধ তৈরি হলেও পরে পরিস্থিতি নাকি শান্ত হয়েছিল। কিন্তু শান্তি বেশিদিন টিকল না। ফের গুঞ্জন— শেষ হতে চলেছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। কারণ হিসেবে সামনে এসেছে দিতিপ্রিয়ার অসহযোগিতার অভিযোগ। এই উত্তপ্ত পরিবেশের মাঝেই জিতুর একটি ইঙ্গিতবহ পোস্ট নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে টলিপাড়ায়।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কোনও নাম উল্লেখ না করেই জিতু একটি বার্তা শেয়ার করেছেন— “এতটা ভাল হও যাতে প্রয়োজনে কাউকে ক্ষমা করা যায়, কিন্তু এতটা বোকা হয়ো না, যে আবার তাঁদের বিশ্বাস করো।” ঠিক কোন পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করে তিনি এ কথা বললেন, তা যদিও স্পষ্ট করেননি। তবে দুই সহ-অভিনেতার অন্দরের সমস্যার আবহে এই পোস্টকে ঘিরে জল্পনা বাড়ছেই।
সাম্প্রতিক গুঞ্জন ঘনীভূত হওয়ার পর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে জিতু আরেকটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। সেখানে দাবি করেন, তাঁর সহ-অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া তাঁর সঙ্গে শট দিতে নাকি রাজি নন। আরও জানান, প্রোডাকশনের মাধ্যমেই তিনি এসব অভিযোগ শুনেছেন— তিনি দুর্ব্যবহার করেন, মহিলা সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে অভিনয়ের যোগ্য নন, এমনকি অসুস্থতার অজুহাতও নাকি তিনি তুলেছেন। জিতুর কথায়, এত কিছু শুনে তাঁর আত্মসম্মানই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
কিছুদিন আগেই ‘এরাও মানুষ’ ছবির শুটিং সেটে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জিতু। সেখান থেকে ফিরে আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন দ্রুতই। সেই সময় দিতিপ্রিয়া তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনাও করেছিলেন প্রকাশ্যে। তারপর এত বড় ফাটল তৈরি হল কীভাবে— সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। পুরো ঘটনা ঘিরে দিতিপ্রিয়ার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ‘উজি-ঋষি যদি ‘জোয়ার ভাঁটা’র প্রাণ হয়, তবে নিশা হচ্ছে আত্মা!’ ‘নিশা চরিত্রটাকে এমন ফুটিয়ে তুলেছে যেন পর্দা নয়, আমাদের চারপাশের কোনও বাস্তব মানুষ!’– শ্রুতির অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকরা! তাঁর চাহনি, সংলাপ বলার ধরন যেন আলাদাই গভীরতা এনে দিয়েছে গল্পে! প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া
আজকাল ডট ইন-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে জিতু জানান, অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে তিনি সাধারণত সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলেন। তবে প্রয়োজনে নিজের অবস্থান বোঝাতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই ভরসা করবেন। অন্যদিকে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এখন দেখার, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়— সত্যিই কি শেষের পথে ধারাবাহিক, নাকি সম্পর্কের বরফ গলবে আবারও।
