জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বৈঠকের মাঝপথে জিতুর গাছাড়া মনোভাব! দিতিপ্রিয়া শান্ত থেকে সমাধান খুঁজেছেন শেষ পর্যন্ত! জিতুর ব্যবহারেই নাকি প্রযোজকদের চূড়ান্ত অসন্তোষ, ফলস্বরূপ ‘আর্য’ চরিত্র থেকে ছাঁটাই!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) ভবিষ্যৎ নিয়ে চলতে থাকা অস্থিরতা এখন আর লুকোনো নেই। ধারাবাহিকভাবে গল্প এগোচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটের ভিতরের সম্পর্ক-সমীকরণ কোথায় যে ভেঙে গেল, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। অনেকদিন ধরেই টানা চাপা উত্তেজনা ছিল কিন্তু তা এতটা গভীরে পৌঁছে গেছে, সেটা স্পষ্ট হলো গতকালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। সেই বৈঠকেই সবচেয়ে আশ্চর্য আচরণ করেছেন ধারাবাহিকের নায়ক আর্য অর্থাৎ অভিনেতা ‘জিতু কমল’ (Jeetu Kamal)!

সূত্রের খবর, আলোচনা চলতে চলতেই তিনি হঠাৎ উঠে বেরিয়ে গিয়েছেন যেন আর কথোপকথনের অংশ থাকতেই চান না! এই আচরণে উপস্থিত সকলের মুখেই অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। অন্যদিকে, দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) পুরো পরিস্থিতিতে একেবারেই বিরক্ত বা উত্তেজিত হননি। বরং খুব স্থির থেকে সব কথা শুনেছেন এবং নিজের বক্তব্যও মেপে বলেছেন। তিন ঘণ্টার বৈঠকে শেষ অব্দি চুপচাপ অবস্থান করা, বোঝা যাচ্ছিল তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মতে, জিতুর এই অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া আর দিতিপ্রিয়ার ধীরস্থির আচরণ– দুই প্রান্তের দুই ছবি তুলে ধরেছিল। অনেকেই আশা করেছিলেন যে আলোচনা যতই কঠিন হোক, অন্তত দুই অভিনেতাই সমাধানের পথে হাঁটবেন। কিন্তু জিতুর আচরণ সেই আশা ভেঙে দিয়েছে! প্রসঙ্গত, শট দেওয়া নিয়ে ঝামেলা থেকে অসুস্থতা নিয়ে কটুক্তি এবং ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি– এতদিন যেসব অভিযোগ আলোচনা হচ্ছিল, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আবারও কথাবার্তা ওঠে বৈঠকে।

সেগুলোর কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছোনোর আগেই জিতুর আচরণ পরিস্থিতি জটিল করে তোলে! প্রযোজকদের মতে, একজন পেশাদার অভিনেতার কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ তাঁরা আশা করেননি। বিশেষ করে যখন একটা সফল ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ ঝুলছে, তখন এই গাছাড়া মনোভাব পুরো ইউনিটকেই সমস্যায় ফেলে। এই কারণেই বৈঠকের পরেই প্রযোজনা সংস্থার ভেতরে আলোচনা শুরু হয় নতুন করে। দীর্ঘদিনের জল্পনা এবার যেন আরও স্পষ্ট রূপ নেয়। প্রযোজকদের অনেকেই মনে করেছেন, এমন অস্থির ব্যবহারের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করাটা খুব কঠিন।

দিতিপ্রিয়া যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামলেছে, তার জন্য তাঁর প্রতি আস্থা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু জিতুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা একেবারেই উল্টো। ফলে শেষমেশ তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন– ‘আর্য’ চরিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে! উল্লেখ্য, এখনও ঘোষণা হয়নি কে আসছেন নতুন আর্য হয়ে, তবে পরিবর্তনের হাওয়া যে ইতিমধ্যে বইতে শুরু করেছে তা আর লুকোনো নেই। দর্শকরাও এই সিদ্ধান্তে তীব্রভাবে দু’ভাগে বিভক্ত। কেউ বলছেন জিতুর অভিযোগ সঠিক, কেউ মনে করছেন তাঁর আচরণেই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে।

Piya Chanda