জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ন্যাকা মেয়ে কিছুই বোঝে না যেন, স্বামীকে বোঝার চেষ্টাই নেই আর অপরাধী দিদিকে বাঁচানোর সময় সব পারছে!’ উজির সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন দর্শকরা! ‘জোয়ার ভাঁটা’য় নিশার জন্য ঋষির সঙ্গে উজির অবিচার নিয়ে তীব্র অসন্তোষ সমাজ মাধ্যমে!

জি বাংলার এই মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) গল্প আর নতুনত্ব মোড় নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠছে রোজ। গল্পের কেন্দ্র উজি আর নিশা, তাদের বাবার মৃ’ত্যুর প্রতিশোধ নিয়ে গিয়ে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে, যেখানে প্রতিটা পদক্ষেপ মেপে না নিলেই ফেঁসে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নিশা প্রথম থেকেই বেপরোয়া নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে, কিন্তু উজি সবকিছুর ফলাফল চিন্তা করেই সামনে এগিয়ে চলে।

বাবার আকস্মিক মৃ’ত্যু উজির সেই মনোবল আর চিন্তাশক্তি নষ্ট করে দেয় এক মুহূর্তেই। দিদির কথায় সম্মতি জানিয়ে তাই সেও কলকাতায় এসে, বাবার খু’নি এবং প্রতা’রক ঋষি ব্যানার্জির থেকে প্রতিশোধ নিয়ে। মিথ্যে বিয়ের নাটক দুর্ভাগ্যবশত সত্যি সম্পর্কের রূপান্তরিত হয়ে। যাকে উজি সবচেয়ে ঘৃণা করত, সেই মানুষটার সঙ্গেই তার আজীবনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু উল্টোদিকে ঋষির মনে কোনও দ্বিধা নেই, সে নিজের সবটা দিয়ে জ্যোতি অর্থাৎ উজিকে ভালোবাসে।

উজিও কিছুটা সময় ঋষির সঙ্গে থাকতে থাকতে এটা অনুভব করেছে, যে মানুষটা এতটা সরল। সবার জন্য এতটা ভাবে, সে কি করে তাঁর বাবার খু’নি হতে পারে! মনে সন্দেহ জেগেছে উজির ঠিকই কিন্তু ঋষিকে কিছুতেই ভালোবসতে পারছে না সে। বর্তমান পর্বে অপহরণকারীর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে ঋষি বাড়ি ফিরে এসেছে। ঋষির মা উজিকে সারারাত অসুস্থ ঋষির কাছেই থাকতে বলেছেন। ঘুমের ঘোরে ঋষি হঠাৎ উজির কোলে মাথা রাখতেই, সে অসস্তি বোধ করে!

নিজের দিদি প্রতিশোধের নামে এতটা ভুল করেই যাচ্ছে একের পর এক, তাঁকে বাঁচাচ্ছে কিন্তু ঋষি যে নির্দোষ সেটা উজি বুঝতে পাচ্ছে না– এই নিয়ে সমাজ মাধ্যম কার্যত উত্তাল! কেউ বলছেন, “উজি চরিত্রটিকে আরেকটু গুরুত্ব দেওয়া হোক। সবসময় শুধু নিশার মতবাদকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে গল্পটা পুরো ওই মতবাদে চলছে। উজি আর নিশা দুজনের অনুসন্ধানের ধরণের বৈপরীত্য এই গল্পের মূল শক্তি। সেটাকে আরো ভালো করা হোক। উজির নিজস্ব ভাবনা, মতামত, কাজে আরও গুরুত্ব দিলে আরো সুন্দর হবে গল্পটা।”

কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, “ন্যাকা! যেন কিছুই বোঝে না, কিছুই জানে না। ওর দিদি যেমন অন্যায় করছে বলে অপরাধী, তেমন ন্যাকামি করে বোনও সমান অপরাধী হচ্ছে দিদিকে বাঁচিয়ে।” একজন তো সরাসরি অভিনেত্রীকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, “কোনও ধারাবাহিকেই স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে পারে না এই মেয়ে! এবার ঋষিকেও ছেড়ে দেবে ‘মিঠিঝোরা’র মতো।” সব মিলিয়ে, ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক ধারাবাহিকটি সমাজ মাধ্যমের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।

Piya Chanda