জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘সবাই পুরস্কার পেলেও ‘জগদ্ধাত্রী’র জুটি অন্ধকারে, এতদিনের আবেগ এক রাতেই শেষ!’ ‘প্রযোজক নিজের হাতেই ধারাবাহিক ও জুটিটা নষ্ট করলেন, আগেই সম্মান নিয়ে শেষ করা উচিত ছিল!’– সামাজিক মাধ্যমে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে নিশানা করছেন অনুরাগীরা, প্রশ্ন উঠছে তাঁর ভূমিকা নিয়ে!

গত বৃহস্পতিবার টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ছোটপর্দার সেরা শিল্পী থেকে শুরু করে ধারাবাহিকের পুরষ্কার নেওয়ার মুহূর্তে যেমন উচ্ছ্বাস ছিল, তেমনই অনুষ্ঠান শেষ হতেই তৈরি হয়েছে একের পর এক বিতর্ক। এদিন মোট ৪১টি বিভাগে পুরস্কার ঘোষণা করা হলেও, সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল জি বাংলার অন্যতম সফল ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’র (Jagaddhatri) ফলাফল। ১০০০ পর্ব পেরিয়ে, ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা টিআরপি থেকে সামাজিক মাধ্যমে, দুই জায়গাতেই যে এখনও চোখে পড়ার মতো, তাই নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।

তবু বাস্তবিক পুরস্কারের তালিকা যখন সামনে আসতেই, দর্শকের মনে তৈরি হয়েছে হতাশা আর প্রশ্ন। জি বাংলার এই ধারাবাহিক থেকে একমাত্র রূপসা চক্রবর্তী ‘সেরা সহ-অভিনেত্রী’র সম্মান পেলেন। অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে তাঁর প্রশংসা হলেও, বাকি শিল্পীদের নাম বাদ পড়ায় ক্ষোভ লুকোননি অনুরাগীরা। তাঁদের যুক্তি, অঙ্কিতা মল্লিক এবং সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের রসায়নই তো এই ধারাবাহিকের পরিচয় তৈরি করেছে। পর্দার জনপ্রিয়তা প্রতিদিনই যে ভাবে স্পষ্ট হয়, পুরস্কারের মঞ্চে সেই প্রতিফলন না দেখা যাওয়ায় অনেকেই অবাক।

কারও মতে, জনপ্রিয়তা আর স্বীকৃতির এই অমিলই ভাবাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সমাজ মাধ্যমে তাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে রাগ, হতাশা আর নানা তীর্যক মন্তব্য। কেউ লিখছেন, এই ফলাফল যেন ধারাবাহিকের শিল্পীদের সম্মানহানি। আবার অন্যজনের মতে, পুরস্কারের তালিকা যদি এমনই হতে হয়, তবে জুটির ভবিষ্যৎ সত্যিই সংকটে। যে ধারাবাহিকের প্রতি বছরের পর বছর দর্শকের এমন আবেগ, সেই আবেগের বিনিময়ে যেন ফিরল অপ্রত্যাশিত ফল। ফলে ক্ষোভের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

এরই মাঝে সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ধেয়ে আসছে প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দিকে। কারণ হিসেবে অনেকে তুলে ধরছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা নাকি ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। কেউ সরাসরি অভিযোগ করে লিখেছেন, নিজের হাতে তৈরি ধারাবাহিকে তিনিই নষ্ট করলেন! আবার কারও কটাক্ষ, যদি অনেক আগেই এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যেত, তবে শিল্পীরা অন্য কাজে সুযোগ পেতেন এবং হয়তো পুরস্কারের অবস্থানও বদলাত। যদিও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি, তবে জল্পনা থামেনি একেবারেই।

সব মিলিয়ে, জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’র জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে আনন্দের চেয়েও বেশি বিতর্কের বিষয়! একজন নিয়মিত দর্শক বলেছেন, “এবার ‘সোনার সংসার’এ যদি জগদ্ধাত্রী থাকে, তাহলে একটা পুরস্কারও পাবে না। কারণ, ‘পরিণীতা’ আর ‘জোয়ার ভাঁটা’ যা ভালো হচ্ছে, ওরাই সব পাবে। তাই কষ্ট হলেও চাই যেন জগদ্ধাত্রী তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। চোখের সামনে এসব দেখতে সত্যি ভালো লাগে না ভক্ত হয়ে।” একপাশে রূপসার প্রাপ্ত সম্মান, অন্য পাশে জুটির অনুপস্থিতিতে বিরাট শূন্যতা, এখন দেখার চ্যানেল বা সংশ্লিষ্টদের তরফে কোনও ব্যাখ্যা আসে কি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।