জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) ভবিষ্যৎ এখনও অন্ধকারেই আটকে। টিআরপি ভাল থাকা সত্ত্বেও রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও সমাধান বেরোল না আর ঠিক সেখানেই দর্শক থেকে শুরু করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং আর্টিস্ট ফোরামের দৃষ্টি গিয়ে থেমেছে নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) নীরবতায়। ইতিমধ্যেই প্রযোজনা সংস্থা, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং আর্টিস্ট ফোরাম নিজেদের বক্তব্য জানালেও দিতিপ্রিয়া দিনভর চুপ থেকেছেন। ফলে ধারাবাহিক চলবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরের একমাত্র চাবিকাঠি এখন তাঁর হাতেই বলে মনে করছেন সকলে।
অন্যদিকে, জিতু কমল নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে শুক্রবার থেকেই শুটে যোগ দিয়েছেন। আর্য চরিত্রে তিনিই থাকছেন, সেই ঘোষণার পরেও দ্বন্দ্ব থামেনি! দুই শিল্পীর ব্যক্তিগত মতবিরোধের জেরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে নাকি দিতিপ্রিয়া নিজেই এখন সরে যেতে চান। যদিও কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, তবে নায়িকা নীরব থাকায় জল্পনা আরও বেড়েছে। এদিকে টেলিপাড়ায় রটে গেছে, তাঁর বিকল্প হিসেবে অন্য এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গে নাকি কথাবার্তাও এগোচ্ছে ধারাবাহিক নির্মাতা।
প্রসঙ্গত, রবিবারের বৈঠক ঘিরে প্রত্যাশা ছিল প্রবল, কিন্তু শেষ মুহূর্তেও কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। এদিন জিতুর বক্তব্য আগেই জমা পড়েছে, প্রযোজনা সংস্থাও নিজেদের মত জানায়। শুধু দিতিপ্রিয়াই নাকি কোনও প্রতিক্রিয়াই জানাননি। ফলে পুরো আলোচনা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া মানে শুধু দুই মুখের লড়াই শেষ এমন নয়, এর সঙ্গে যুক্ত বহু অভিনেতা ও টেকনিশিয়ানের রোজগারও শেষ করে দেওয়া। তাই পরিস্থিতি সামলাতে চেষ্টা আর সময়ের উপর ভরসাই একমাত্র উপায়।
এদিন ফোরামের কোষাধ্যক্ষ সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে সেট বন্ধ না হয়। কারণ এক ধারাবাহিক নির্দিষ্ট সময়ের আগে বন্ধ হয়ে গেলে পুরো ইউনিট কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাই সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নায়িকা যদি এর মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির নিয়ম মেনে এনওসি জমা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে আটকে রাখার কোনও সুযোগ থাকবে না, সেটাই মেনে নেবে ফোরাম। ফলে চ্যানেলের হাতে বিকল্প পরিকল্পনা থাকলেও, চূড়ান্ত রায়ের আগে কারও পক্ষেই নিশ্চিন্ত হওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ ‘এবার ‘ফুলকি’ও শেষ করা হোক, দিন দিন অসহ্যকর হয়ে উঠছে!’ ‘গল্পের আগা-মাথা নেই, ৭:৩০র প্রাইম স্লটের যোগ্য না!’ একঘেয়ে গল্প আর অবাস্তব ঘটনার জেরে ক্ষোভ দর্শকদের! সমাজ মাধ্যমে উঠছে ‘ফুলকি’ বন্ধের জোরালো দাবি!
সব মিলিয়ে ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ এখন দিতিপ্রিয়ার উত্তরের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। তিনি কি শুটে ফিরবেন, নাকি বিদায় জানাবেন, সেই সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে পুরো ইউনিটের ভাগ্য। সোমবার নীরবতা যদি ভাঙে, তাহলে পথ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে। আর যদি না-ও হয়, তবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ হয়তো চিরদিনের মতোই থেকে যাবে শুধু অনিশ্চয়তার ফাঁদে। এখন সময়ের অপেক্ষা, নায়িকার তরফে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলে কি না!
