জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনার কেন্দ্রে এখন আর অভিনেত্রীর মুখ বদল বা নায়কের মৃ’ত্যুতে আটকে নেই, বরং পুরোটাই ঘুরে গেছে গল্পের নতুন সঙ্কটকে ঘিরে! খলনায়ক রুদ্র আবার ফিরে এসেছে ছদ্মবেশে আর এবার সে সরাসরি আঘাত করেছে ফুলকির সবচেয়ে দুর্বল জায়গায়, তার মেয়ে ফুলঝুরিকে অপ’হর’ণ করে। ঘটনাটা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের ধৈর্যচ্যুতি স্পষ্ট। এই ধারাবাহিকের গল্প যতবারই মোড় নিয়েছে, রুদ্রকে ঘিরে একই ধরনের হুমকি আর প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য দর্শকদের কাছে এখন একঘেয়েমির হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে ফুলকি এখনও দিশেহারা অবস্থায় মেয়ের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছে। রোহিতের মৃ’ত্যুর পর অরণ্যের উপস্থিতিতে মন একটু শান্ত হতে শুরু করেছিল ঠিকই, কিন্তু নতুন করে ফুলঝুরিকে হারানোর আতঙ্ক তাকে ভেতর থেকে আবার ভেঙে দিচ্ছে। ফুলকি-অরণ্যের বিয়ে আর নতুন জীবনের সূচনা দেখানো হলেও, সেই আবহ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা আর অসহায়তায়। চরিত্রের এই টানাপড়েন দর্শকদের একাংশের সহানুভূতি কেড়েছে, কিন্তু গল্প স্বাভাবিকভাবে এগোচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকে অবাস্তব ঘটনা নিয়ে দর্শকরা আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ছোট্ট ফুলঝুরির উপস্থিতিটাই যেন দর্শকদের আবার টানতে শুরু করেছিল। বাবাকে হারিয়ে মেয়েটি পরিণত হয়ে উঠেছিল, সেই মেয়েই এখন সবচেয়ে বড় সঙ্কটের মুখে। আগের পর্বগুলোতে তাকে মায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেলেও, হঠাৎ করে এমন বিপদের মুখে পড়া অনেককেই বিচলিত করেছে। দর্শকদের মতে, শিশু চরিত্রকে এভাবে বারবার বিপদের মুখে ফেলা এখন আর কোনোভাবেই দরকারি মনে হচ্ছে না, বরং অকারণ নাটকীয়তা যোগ করা হচ্ছে।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে রুদ্রের পুনরাবির্ভাবই মূল ক্ষোভের কারণ। বহু দর্শক সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন, যতবারই রুদ্রকে শেষ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ততবারই সে আবার ফিরে এসেছে একই ভয় দেখিয়ে যে ফুলকির জীবন নষ্ট করে দেবে! ফলে প্রশ্ন উঠছে, গল্প কি সত্যিই এগোচ্ছে, নাকি একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে? বিশেষ করে প্রাইম স্লটের একটি ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে এই পুনরাবৃত্তি আর সহ্য হচ্ছে না অনেকেরই। এই কারণেই এখন সমাজ মাধ্যমে দাবি উঠছে, ধারাবাহিকটি বন্ধ করা হোক!
আরও পড়ুনঃ ‘একাধিক হিরোর সঙ্গে আমারও হয়েছে…না হলে মজা কী!’ জিতু-দিতিপ্রিয়ার চলমান দ্বন্দ্বে মানালি দে’র খোঁচা! অভিনেত্রীর বক্তব্যে নতুন করে বাড়ল জল্পনা! দিতিপ্রিয়াকে কি পরোক্ষ সমর্থন করলেন তিনি?
কারও ভাষায়, “গল্পের আগা-মাথা নেই, শুধু টিআরপির জন্য টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” কেউ আবার লিখেছেন, “জগদ্ধাত্রীর পর এটাকেও এবার শেষ করুক, ৭:৩০-এর মতো স্লটের জন্য এই গল্প একেবারেই মানানসই নয়।” একজন বলেছেন, “নতুন কিছু আনতে না পারলে, সম্মান থাকতে থাকতে শেষ করে দেওয়া উচিত।” সব মিলিয়ে, দর্শকদের মনোভাব স্পষ্ট, গল্প নতুন পথে না এগোলে ‘ফুলকি’কে ঘিরে যে উত্তেজনা একসময় ছিল, তা দ্রুতই ক্ষোভে পরিণত হবে আর টিআরপি তালিকা দিয়েও হারিয়ে যাবে।
