জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“জিতুর সঙ্গে অফস্ক্রিন বন্ডিং দারুণ, আমার কাজকেও সবসময় প্রশংসা করেন, আমি কৃতজ্ঞ”—এমনই দাবি করেছিলেন দিতিপ্রিয়া! তাহলে হঠাৎ কী হল? বন্ডিং ভালো থাকার পরও সম্পর্ক ভাঙল কেন, কেনই বা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হলো দিতিপ্রিয়াকে?

টেলিভিশন দর্শকদের কাছে ধারাবাহিক মানেই দিনের শেষে পরিচিত কিছু মুখের গল্পে ডুব দেওয়া। সেই জায়গায় যদি হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্র বদলে যায়, চরিত্রের রসায়নের বদলে সামনে আসে নেপথ্যের অশান্তি—তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়। গত কিছু সপ্তাহ ধরে ঠিক এমনই চাপা উত্তেজনা ঘুরপাক খাচ্ছিল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ঘিরে। টিআরপি-র দৌড়, জনপ্রিয়তা—সব ছাপিয়ে এক অদৃশ্য টানাপড়েন যেন প্রতিদিন নতুন করে মাথা তুলছিল।

ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে শুরু থেকেই গুঞ্জন ছিল—জিতু কমল ও দিতিপ্রিয়া রায়ের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। দু’জনের মধ্যে রীতিমতো মনোমালিন্য, যা নাকি বারবার বৈঠক ডেকে সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রযোজক, চ্যানেল এবং ফোরামের সদস্যরা। তবে সেই প্রচেষ্টা বেশিদিন টেকেনি। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছিল, এই দ্বন্দ্বের রেশ ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎকেও প্রভাবিত করতে পারে।

আর সেই আশঙ্কাই সত্যি করলেন দিতিপ্রিয়া। আর্টিস্ট ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত বদলের কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবুও সকলে কিছুটা আশায় ছিলেন। কিন্তু সোমবার লিখিত ভাবে ‘এনওসি’ জমা দিয়ে ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ইন্ডাস্ট্রি-র নিয়ম অনুযায়ী কাজ ছাড়তে কমপক্ষে দু’মাসের নোটিস লাগে। দিতিপ্রিয়া শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথা জানিয়ে সময়সীমা কমিয়ে ১৫ দিনের আবেদন করেছিলেন—প্রযোজনা সংস্থা তা মেনেও নিয়েছিল।

তাহলে এত তাড়াহুড়োতে ধারাবাহিক ছাড়লেন কেন? আর্টিস্ট ফোরামের কোষাধ্যক্ষ সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন—জিতু-দিতিপ্রিয়ার মনোমালিন্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে দিতিপ্রিয়াকে কটাক্ষ করা হচ্ছিল। কিন্তু ধারাবাহিকের প্রথম অবস্থায় দিতিপ্রিয়া একটি ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন জিতু কমলের সঙ্গে তার অফস্ক্রীন বন্ডিং বাকি মানুষদের মতোই ভালো এবং জিতু তার অভিনয়ের কাজকে সবসময় ভালো বলে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও করে বহুদিন ধরে চলে আসা জটিলতা যেন থামছেই না। অবশেষে তিনি নাকি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অভিনয়ে মন দিতে পারছিলেন না বলেই শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত। অভিনেতার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দিতিপ্রিয়াও ফোন বা বার্তার উত্তর দেননি।

এদিকে ধারাবাহিক বন্ধ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ফোরাম। প্রযোজনা সংস্থা ইতিমধ্যেই বিকল্প খোঁজা শুরু করেছে বলেই সূত্রের দাবি। সম্ভাব্য নামের তালিকায় রয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু, প্রত্যুষা পাল-সহ আরও কয়েকজন। এমনও শোনা যাচ্ছে—একেবারে নতুন মুখকেও আনতে পারে চ্যানেল। দর্শকপ্রিয় একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র বদলানো কত বড় বাজি—তা সময়ই বলবে।

Piya Chanda