জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দিতিপ্রিয়ার বিদায়ে আর নতুন নায়িকার আগমনেবড়সড় ধাক্কার মুখে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার!’শিরিনকে কি সত্যিই গ্রহণ করতে পারবেন না দর্শকরা?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’—শুরু থেকেই দর্শকের মন জয় করেছে নিজের গল্প আর উপস্থাপনার জন্য। প্রথম দিন থেকেই এই সিরিয়ালের কেমিস্ট্রি, পরিবারের আবহ, চরিত্রগুলোর টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে দর্শক ধরে রাখার মত সক্ষম এই ধারাবাহিকটি। পুরো টিমের পরিশ্রমে এই ধারাবাহিক খুব দ্রুতই চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় শোতে পরিণত করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সিরিয়াল ঘিরে সবসময়ই একটা আলাদাই উন্মাদনা থাকে দর্শকদের মধ্যে।

তবে টিআরপি তালিকায় ভালো জায়গা দখল করার পরেই সিরিয়ালের ক্যামেরার পেছনে শুরু হয় একাধিক বিতর্ক। অভিনেতা জিতু কমল এবং অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের মধ্যে বারবার মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছিল। কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলেই শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত বহুবার সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার পরে অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়াই নিজে থেকে ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে দর্শকের একটা বড় অংশ স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে যায়।

এখন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই আসছেন নতুন নায়িকা শিরিন। অপর্ণা চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে খুব শিগগিরই। নতুন মুখ হলেও শিরিনকে ভরসা করেই এগোচ্ছে নির্মাতারা। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন—নতুন মুখ সিরিয়ালে নতুন প্রাণ আনতে পারে। আবার অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন।

তবে দিতিপ্রিয়া রায়ের বিশাল ফ্যানবেস বিষয়টিকে সহজভাবে নিচ্ছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শিরিনকে নিয়ে কটু মন্তব্য করছেন। তাঁদের ধারণা, দিতিপ্রিয়ার মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী চলে যাওয়ার পরে সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। আবার অন্যদিকে শিরিনকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য দেখে বিরক্ত সাধারণ দর্শকদের একাংশ। তাঁদের মতে—মেয়েটি নিজের কাজ শুরুই করেনি, আগে অন্তত একবার সুযোগ দেওয়া উচিত।

এসভিএফ-এর মতো বড় প্রযোজনা সংস্থা যখন কাউকে কাস্ট করে, তার মানে নিশ্চয়ই তাঁর মধ্যে কিছু না কিছু গুণ আছে। শিরিনও হয়তো নিজের অভিনয় দিয়ে ধীরে ধীরে দর্শকের মন জয় করতে পারবেন। দিতিপ্রিয়া মতো একজন অভিনেত্রী—তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়া সহজ নয়, তবে অসম্ভবও নয়। এখন দেখার বিষয়, নতুন এই নায়িকা কি শেষ পর্যন্ত দর্শকের মন ধরে রাখতে পারেন কিনা।

Piya Chanda