জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জন্মদিনে স্মৃতির হাতছানি, প্র’য়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাজের মধুর স্মৃতি ভাগ করলেন লিলি চক্রবর্তী! পর্দার আড়ালের অদেখা মানুষটিকে স্মরণ করে আবেগে ভাসলেন টলিউড কিংবদন্তি! কেমন মানুষ ছিলেন ধর্মেন্দ্র?

হিন্দি চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ছয় দশকের পথচলায় কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এক অনন্য সত্তা হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিশাল জনপ্রিয়তার বাইরেও শিল্পী হিসেবে যে সরলতা ও মমত্ব লুকিয়ে ছিল, সেটাই বারবার মনে পড়ে টলিউড কিংবদন্তি অভিনেত্রী ‘লিলি চক্রবর্তী’র (Lily Chakravarty)। আজ সেই অভিনেতার জন্মদিনে, স্মৃতিচারণ করে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী। কেমন ছিল ধর্মেন্দ্র সঙ্গে পর্দা ভাগ করার অভিজ্ঞতা? বাস্তবে কেমন মানুষ ছিলেন তিনি?

অভিনেত্রী জানান, বহু মানুষের ভিড়ে থেকেও ধর্মেন্দ্রকে দেখলে একটা আলাদা স্বাধীর্য চোখে পড়ত। বড় তারকা হয়েও তিনি কখনও নিজের অবস্থানকে বাড়াবাড়ি গুরুত্ব দিতেন না। শিল্পী হিসেবে তাঁকে দেখতে গেলে যেমন অনায়াস অভিনয় চোখে পড়ত, মানুষ হিসেবে তাঁর আচার-ব্যবহারের উষ্ণতা আরও বেশি মনে গেঁথে থাকত।এদিন লিলি চক্রবর্তী নিজের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করতে গিয়ে আরও জানান, ব্যস্ততাতেও সেটে প্রায়ই হাসি-মজার পরিবেশ তৈরি করে রাখতেন ধর্মেন্দ্র।

নতুন শিল্পীরা যাতে অস্বস্তিতে না পড়ে, তার জন্য সর্বদাই কোমল আচরণ করতেন। কেউ সিনিয়র বা জুনিয়র এমন কোনও দূরত্ব টেনে রাখতেন না। বরং সহঅভিনেতাদের সঙ্গে হইহল্লা করে কাজ করতেন। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে তাঁর সঙ্গে দৃশ্য শুট করতে গিয়েই লিলির মনে হয়েছিল, এত বড় তারকা হয়েও তাঁর ব্যাবহারে কোনও বাড়তি ভর দেখানোর চেষ্টা নেই! অভিনেত্রীর স্মৃতিতে আরও একটি বিষয় বারবার ফিরে আসে, ধর্মেন্দ্রর ভদ্রতা।

যে কোনও পরিস্থিতিতে কাউকে অপ্রস্তুত করে দেওয়া তাঁর স্বভাবে ছিল না। প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে নিতেন, যেন সবার স্বস্তিটুকু বজায় থাকে। বহু বছরের অভিজ্ঞতার পরেও মানুষের মূল্য বুঝতে পারতেন তিনি। সেটে টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান আত্মীয়তা দেখাতেন। সেই কারণেই লিলির কাছে তাঁর সঙ্গে থাকা সময়টা বিশেষ প্রাপ্তি হয়ে রয়ে গেছে। তাঁর সৃষ্টিশীল দিক নিয়েও আলাদা টান ছিল লিলির।

কবিতা বা শায়েরিতে ধর্মেন্দ্রর ছিল দারুন দক্ষতা। ব্যস্ত সময়ে সেই চর্চা কম হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার লেখালিখির কাছে ফিরে আসেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি শব্দের প্রতি তাঁর টান যেন নতুন করে সামনে ফুটে উঠেছিল। শিল্পী হিসেবে তাঁর বহুমুখী প্রতিভা লিলিকে বারবার মুগ্ধ করেছে। তবে লিলি চক্রবর্তীর দুঃখ, অভিনেতা নব্বই ছুঁতে পারলেন না। ধর্মেন্দ্র যদি আরও কিছুদিন থাকতেন, কাছের মানুষদের যেন একটা ভরসা থাকত বলে মনে করেন লিলি।

Piya Chanda