তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনাদর্শন, ভাবনা কিংবা ছোট ছোট জীবন-উপলব্ধি—এসবই আজকাল সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। কারণ তারকারাও যে মানুষের মতোই জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে জান সেটা দর্শকের কৌতুকের জায়গা। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান—তারকার একটি সাধারণ মন্তব্যও অনেক সময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এবার সেই আলোচনার কেন্দ্রে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছোটবেলা থেকেই বাংলা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত এই অভিনেতা ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন নিজের অভিনয়জীবন। মঞ্চের ঘাম থেকে ক্যামেরার সামনে পৌঁছে ম্যাচ্যুরড অভিনয়ে নজর কেড়েছেন বহু পরিচালকের। থিয়েটারের হাতেখড়ি থেকেই তিনি ধীরে ধীরে খুঁজে পান নিজের পথ।
টেলিভিশন ধারাবাহিক দিয়ে শুরু হলেও খুব দ্রুতই বড় পর্দায় নিজের অবস্থান তৈরি করেন তিনি। পাগল প্রেমী ছবিতে অভিষেক, তারপরে চলো লেটস গো, পরিণীতা – এক এক করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৪ সালে শব্দ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার ইস্ট-এ সেরা অভিনেতার সম্মানও পান। ২০২১-এ তিনি নিজেই তৈরি করেন বিরহী ওয়েব সিরিজ—যা প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
এবার নিজের জীবনদর্শন নিয়েই নতুন মন্তব্য করলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়—“যেটা তোমার পছন্দ না, সেটা তুমি দেখো না।” অর্থাৎ জীবনের কঠিন অঙ্কগুলোকে ভয় না পেয়ে এগিয়ে যাওয়াতেই তিনি সত্যিকারের আনন্দ খুঁজে পান তিনি। একেকটা পরিস্থিতি একেকটা অঙ্ক, আর সেই অঙ্ক কষতে কষতেই মানুষ তৈরি হয়—এমনটাই তাঁর ইঙ্গিত।
আরও পড়ুনঃ “বাবা বলেন ‘ওকে সিনেমায় নামিয়ে দেব’, ওটাই আমার জীবনের কাল…তাঁকে ভোলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে!” বাবার সেই সিদ্ধান্তই বদলে দিয়েছিল বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্যরেখা! সেই থেকেই শুরু হয় পথচলা, জন্ম নেয় এক অভিনেতার সাফল্য-বেদনামিশ্রিত অদেখা গল্প!
তিনি আরও বলেন—“জীবনটা কোনও সিনেমা নয় যে পপকর্ন হাতে বসে দেখবে।” অর্থাৎ জীবনে যে ঝড়ই আসুক, তাকে সামলে নেওয়ার ক্ষমতা নিজের মধ্যেই গড়ে তুলতে হবে। কোনও সিনেমার মতো সমস্যা নিজে থেকে মিটে যাবে না। বরং মানুষকেই নিজের পরিস্থিতি সামলে নতুন করে দাঁড়াতে হবে। অভিনেতার এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
