ধারাবাহিক চিরদিনই তুমি যে আমার নতুন মোড়ে। আর্য এবং অপর্ণার বিয়ের পথে একের পর এক বাধা দর্শককে আগেই কৌতূহলী করে তুলেছে। খলনায়ক মেঘরাজের সব চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর এ বার গল্পে ঢুকছে আরও বড় চমক। গুঞ্জন ছিলই, এ বার সেই জল্পনায় পাকাপাকি সিলমোহর। আর্যের প্রথম স্ত্রী রাজনন্দিনীর চরিত্রে দেখা যাবে পায়েল দে কে। লুক টেস্টে পুরো নম্বর পেয়ে ইতিমধ্যেই শুটিং শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এই খবর ছড়াতেই টেলিপাড়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে।
গল্প অনুযায়ী, আর্যর প্রথম স্ত্রী রাজনন্দিনী মৃত, কিন্তু তাঁর মৃত্যু মোটেই স্বাভাবিক নয়। সিংহ রায় পরিবার আজও তাঁর উপস্থিতি অনুভব করে। এত দিন দর্শক তাঁকে দেখেছে শুধু আবছা ছায়া হিসেবে। কিন্তু এবার রাজনন্দিনী আসছেন সশরীরে, যদিও শোনা যাচ্ছে পুরোটা দেখা যাবে ফ্ল্যাশব্যাকে। এই অতীতের দরজা খুলে যাওয়ায় গল্পে রহস্যের মাত্রা যে অনেকটাই বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। দর্শকও বহুদিন ধরেই জানতে চেয়েছেন, আসলে কেমন ছিলেন আর্যের সেই প্রথম স্ত্রী।
ইতিমধ্যেই অপর্ণার বাবা সতু জেনে গিয়েছেন তাঁর হবু জামাইয়ের অজানা অতীত। পাকাকথা সেরে বাড়ি ফেরার পর আবারও রাজনন্দিনীর উপস্থিতি টের পেয়েছে আর্য। সেই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, এই আগমন কি নিছক স্মৃতির খেলা, না কি এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে আরও গভীর রহস্য। যদিও ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তবু দর্শকের কৌতূহল থামার নাম নেই।
টেলিপাড়ার অন্দরে আরও একটি সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বড়পর্দার ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত জীতু কমল। তাঁর অনুপস্থিতি সামাল দিতেই কি গল্পে রাজনন্দিনীর অংশ বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখাও উদ্দেশ্য। কারণ সম্প্রতি রেটিং তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছে ধারাবাহিকটি। আর্য অপর্ণার রোমান্টিক রসায়নও তেমন কাজ করেনি।
আরও পড়ুনঃ “গল্পে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, সম্পর্কগুলো খুব স্বচ্ছ…ঈশ্বরের একটা মহিমা আছে আর শুরুতেই আছে বড় টুইস্ট!” পল্লবী-বিশ্বরূপের নতুন জুটিতে ফিরছে ভক্তি ও প্রেমের আভাস, জি বাংলায় আসছে ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’! শুরুর আগেই গল্প নিয়ে কি বললেন দু’জন?
এই পরিস্থিতিতে রাজনন্দিনীর অশরীরী উপস্থিতি এবং রহস্যময় অতীত গল্পে নতুন প্রাণ ফেরাতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। পুনর্জন্মের ইঙ্গিত, অজানা মৃত্যুর ছায়া আর মানসিক টানাপোড়েন মিলিয়ে রহস্য রোমাঞ্চের নতুন অধ্যায় খুলতে চলেছে চিরদিনই তুমি যে আমার। দর্শক এখন শুধু অপেক্ষায়, কবে পর্দায় দেখা যাবে রাজনন্দিনীকে।
