বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ায় এমন কিছু মুখ আছে, যাঁরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন। স্নেহা চট্টোপাধ্যায় ঠিক সেই তালিকাতেই পড়েন। পর্দায় কখনও আপনজন, কখনও আবার প্রবল বিরোধী—বিভিন্ন রঙের চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ে তুলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনেও একাধিক নতুন অধ্যায় যোগ হয়েছে তাঁর জীবনে, যা তাঁকে আরও পরিণত করে তুলেছে—শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবেও।
অভিনয়ের জগতে স্নেহার পথচলা সহজ ছিল না। ধারাবাহিকের পর ধারাবাহিকে কাজ করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র গ্ল্যামার নয়, চরিত্রের গভীরতাই তাঁর আসল শক্তি। ভাল-মন্দ সব ধরনের চরিত্রে সমান সাবলীল অভিনয়ের জন্যই পরিচালক থেকে দর্শক—সব মহলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। পর্দার বাইরেও তাঁর ব্যক্তিত্বে রয়েছে এক ধরনের স্থিরতা, যা আজকের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজে চোখে পড়ে না।
কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও এখন তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে করে সংসার গুছিয়েছেন তিনি। বছর খানেক আগে মা হয়েছেন স্নেহা। সন্তান আর শুটিং—দুটোই সামলানো যে কতটা চ্যালেঞ্জের, তা তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন। তবুও মাতৃত্ব তাঁর কাজের গতি থামাতে পারেনি। বরং দায়িত্ববোধ আরও বেড়েছে বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “বাবা ছোটবেলায় একটা কথা বলত, ভালবাসা সে-ই, যে তোমায় জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ডানা যোগ করে। ডানা ছেঁটে নেওয়ার চেষ্টা করে না।” এই কথার মধ্য দিয়েই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সুযোগ দেওয়া আর সুযোগ আটকে দেওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাঁর মতে, সম্পর্কের জোরে নয়, ভালোবাসা এবং সম্মানের ভিত্তিতেই এগোনো উচিত।
আরও পড়ুনঃ ‘ছবির আসল নায়িকা ও-ই…এত অল্প বয়সে এমন অভিনয় বিরল, ওর বাবা হতে পেরে গর্বিত!’ ইধিকা বা জ্যোতির্ময়ী নয়, অনুমেঘাকেই নায়িকা মানছেন দেব! ‘প্রজাপতি ২’তে শিশুশিল্পীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেব! কেমন ছিল পর্দায় তাঁর বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা?
স্নেহার এই মন্তব্য সামনে আসতেই দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় ভরে উঠেছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। অনেকেই লিখছেন, তাঁর বাবার শেখানো কথার মধ্যেই জীবনের বড় সত্য লুকিয়ে আছে, যা ব্যক্তিগত সম্পর্কের অর্থ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। দর্শকদের মতে, স্নেহার কথাগুলো শুধু তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা নয়, বরং বহু মানুষের নিজের জীবনের গল্পের সঙ্গেই মিল খুঁজে পাচ্ছে।
