টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় মানেই একাধারে জনপ্রিয়তা, অভিনয় দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা। বাণিজ্যিক ছবি থেকে শুরু করে চরিত্রনির্ভর গল্প—সব ক্ষেত্রেই নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, একজন পরিণত মানুষ হিসেবেও তাঁর ভাবনা-চিন্তায় এসেছে গভীরতা। সেই গভীরতারই এক অন্য দিক উঠে এল সাম্প্রতিক কথোপকথনে।
সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে শুভশ্রীর নতুন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে…’। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে ছবির ট্রেলার। ট্রেলারে রহস্য, ইতিহাস আর আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন স্পষ্ট। নিমাই সন্ন্যাসীর অন্তর্ধান, গৌরাঙ্গ বা শ্রী চৈতন্যের জীবনের নানা অনুচ্চারিত দিক এবং তিনটি সময়কালকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টাই এই ছবির মূল আকর্ষণ। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিতে অতীত ও বর্তমানের মধ্যে এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে।
এই ছবির সূত্র ধরেই নিজের জীবনের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস নিয়ে মুখ খুলেছেন শুভশ্রী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদ তিনি বরাবরই বিশ্বাস করেন। তাঁর কথায়, ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী তিনি। অন্য অনেকের মতো সিনেমা দেখার অজুহাতে নয়, বরং মন থেকেই মন্দিরে যেতেন। তাঁর মনে আছে, শিশু বয়সেই মন্দিরে বসে থাকার অভ্যাস ছিল তাঁর।
ছবিতে শুভশ্রীকে দেখা যাবে নটী বিনোদিনীর চরিত্রে। বিনোদিনীর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘চৈতন্যলীলা’, যা ছবির গল্পের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। পাশাপাশি ছবির ভেতরে আরেকটি ছবির ধারণাও রয়েছে, যেখানে শ্রী চৈতন্যের ভূমিকায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ট্রেলারের সংলাপ, আবহসংগীত ও দৃশ্য বিন্যাসে সেই রহস্যময় আবহ বজায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, কৌশিকীকে নিয়েও আলোচনা হবেই…আমি কিছু না পারলেও, ও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে!’ ‘জগদ্ধাত্রী’ শেষ হতেই চোখের জল আটকাতে পারলেন না রূপসা!
সবশেষে অভিনেত্রীর আশা, প্রায় ৫০০ বছর আগের মহাপ্রভুর কাহিনি যেমন আজ শোনা হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যেন তেমনই আগ্রহ ও শ্রদ্ধা নিয়ে সেই গল্প শোনে। আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস ও মানবিক অনুভূতির মিশেলে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে…’ যে দর্শকের মনে আলাদা দাগ কাটতে চলেছে, তা বলাই যায়।
