জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“প্রথম কয়েকটা শব্দেই বোঝা যায় মানসিকতা কতটা অসুস্থ, নিজের হতাশা ও অবসাদ ঢাকতেই কটাক্ষ ছুড়ে দেয়!” বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ঘনঘন বিতর্ক এবং ট্রোল সংস্কৃতি নিয়ে সরব হলেন ‘টলি কুইন’ কোয়েল মল্লিক!

টলিউডে তাঁর পরিচয় তিনি ‘টলি কুইন’। না, শুধু ভালো অভিনেত্রী বলেই নন। তবে, অন্যান্য সকল অভিনেত্রীদের থেকেই তিনি যেন অনেক পরিণত এবং ব্যতিক্রমী। পারিবারিক শিক্ষা এবং যে কোনও বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বারবার দর্শকদের নজর কাড়ে। কথা হচ্ছে, রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে তথা বাঙালি অভিনেত্রী ‘কোয়েল মল্লিক’কে (Koel Mullick) নিয়ে। বরাবরের মতো, এবারও তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সামাজিক মাধ্যমে হতে থাকা ট্রোলিং এবং বিতর্ক নিয়ে।

সম্প্রতি দ্রুত গতিতে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রাসঙ্গিকতায় যেন তার অস্বস্তিকর দিকটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে আর সেটা হল ‘ট্রোলিং সংস্কৃতি’ বা বিতর্ক তৈরির প্রবণতা। আজকাল কোনও ছবি, মন্তব্য বা ভিডিও মনঃপূত না হলেই কমেন্ট বক্সে আক্রমণাত্মক ভাষার বন্যা বইয়ে দেয় নেট নাগরিকরা! বলিউড থেকে টলিউড, পার্থক্য খুব একটা নেই বরং এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে আজ কমবেশি সব তারকাই পরিচিত। এই বাস্তবতা নিয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল।

তিনি নিজে অবশ্য এই ধরনের পরিস্থিতিতে খুব একটা পড়েননি বা বলা ভালো যে নিজেকে সচেতন ভাবেই দূরে রাখেন এইসবের থেকে। কোয়েল এমন একজন অভিনেত্রী, যাঁকে সমাজ মাধ্যমে কখনওই বিতর্কের কেন্দ্রে দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত জীবন তিনি আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। খুব বেশি পোস্ট করেন না, আলোচনায় আসার মতো ছবিও শেয়ার করেন না। বলা যায়, ডিজিটাল দুনিয়ায়, তিনি খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে নিভৃতে থাকাকেই যথাযথ মনে করেন।

কিন্তু সহকর্মী বা একই ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের উপর যেভাবে নোংরা মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া হয়, তা নিয়ে তিনি মোটেও উদাসীন নন! সম্প্রতি এই নিয়ে কোয়েল স্পষ্টভাবে জানান, কমেন্ট বক্সে এই ধরনের আক্রমণাত্মক শব্দ দেখলেই বোঝা যায় যে মন্তব্যকারীদের মানসিক অবস্থাটা ঠিক কতটা অসুস্থ! তাঁর মতে, এই প্রবণতার পিছনে অনেক সময় ব্যক্তিগত হতাশা, ক্ষোভ কিংবা অবদমিত ‘ডিপ্রেশন’ কাজ করে। নিজের জীবনের অস্বস্তি থেকেই অনেকে অন্যকে আঘাত করার পথ বেছে নেন, এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী।

ট্রোল আর বিতর্কের বাইরে থেকেও যে নিজের কাজ দিয়ে আলাদা ছাপ ফেলা যায়, কোয়েলের অবস্থান যেন সেই কথাটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে। তবে প্রশ্ন ওঠে, এত কটাক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে কীভাবে নিজেকে সামলান কোয়েল? তাঁর উত্তর যথেষ্ট সহজ এবং বাস্তব। তিনি মনে করেন, যতটা সম্ভব এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। অযথা প্রতিক্রিয়া দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বরং কোনও উত্তর না পেলে ধীরে ধীরে এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ হয়ে যায় বলেই তাঁর অভিজ্ঞতা।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page