জি বাংলার ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) শুরু থেকেই আলাদা করে নজর কেড়েছিল তার গল্পের কারণে। অসমবয়সী প্রেমে, আর্য ও অপর্ণার সম্পর্কের ওঠানামা, মিলিয়ে দর্শকদের মধ্যে এক আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) রসায়ন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে, ধারাবাহিকে তাদের বিয়ের অপেক্ষায় ছিলেন বহু দর্শক। কিন্তু সেই আবেগের মাঝেই দিতিপ্রিয়ার ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার খবর দর্শকদের বড় ধাক্কা দেয়!
আর সেখান থেকেই শুরু হয় একের পর এক বিতর্ক। দিতিপ্রিয়া নিজেই একসময় জানান যে কাজের পরিবেশে কিছু মন্তব্য ও আচরণ তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। সেই চাপ ক্রমে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তিতে পরিণত হয়, যার ফলেই তিনি ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। যদিও মাঝখানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছিল, পরে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয় সমাজ মাধ্যমে। নতুন অপর্ণা হিসেবে যাঁকে নেওয়া হয়, সেই শিরিন পালকে ঘিরেও তৈরি হয় কৌতূহল ও তুলনা।
দিতিপ্রিয়ার জায়গায় নতুন মুখ, স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র ছিল। এই পরিবর্তনের নেপথ্যেও রয়েছে এক বড় সিদ্ধান্ত। দিতিপ্রিয়া কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন, ধারাবাহিকের টানাপোড়েনের সময়ে তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে, নিজের সুস্থতাই তখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে ওঠে। তাই আপাতত কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নিজেকে সময় দিচ্ছেন তিনি। এমনকি এই ধারাবাহিকের কারণেই একটি বড় ওয়েব সিরিজের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছিলেন সেই সময়।
তবে এখন সেই আক্ষেপ নয়, বরং নিজেকে গুছিয়ে নেওয়াই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার। অন্যদিকে, নতুন অপর্ণা শিরিন পালকে নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার পাশাপাশি জিতু কমলও ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত শিরিনের এটি ছোটপর্দায় প্রথম কাজ হলেও, তাঁর প্রস্তুতি এবং অভিনয় দক্ষতা নাকি যথেষ্ট পোক্ত। সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়ে জিতু সেই সম্মান শিরিনকে উৎসর্গ করেন। তাঁর কথায়, ধারাবাহিকের কঠিন সময়ে শিরিন যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে এই স্বীকৃতি প্রাপ্য।
যদিও এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও ডেকে এনেছে। অনেকেই বলেছেন আর্য অপর্ণা জুটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল দিতিপ্রিয়া এবং জিতুর হাত ধরেই, সেখানে দিতিপ্রিয়া চলে যেতে অন্য একজনকে কি করে তিনি এতটা প্রাধান্য দিচ্ছেন সেটাই আপত্তিজনক। এই পুরো আবহে দিতিপ্রিয়া যদিও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি, তবু সমাজ মাধ্যমে তাঁর একটি লাইক নতুন করে জল্পনা উসকে দিয়েছে! সম্প্রতি তিনি একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্টে লাইক করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘ফর্সা গায়ের রং, গোল মুখ নয়’, এই কারণেই নাকি বাদ পড়েছিলেন অডিশন থেকে! ‘নিম ফুলের মধু’র ঈশা থেকে ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’র ইনকা, নায়িকা না হয়েও খলনায়িকা হয়ে নজর কেড়েছেন তনয়া! তবে জানেন কি, পর্দার দাপুটে খলনায়িকার বাস্তব জীবনের প্রেমিক কে?
যেখানে লেখা ছিল, “মগজধোলাই হওয়া নারীরা অনেক সময় নারী-বিদ্বেষী পুরুষদের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, কারণ তারা পিতৃতন্ত্রকেই সংস্কার বলে বিশ্বাস করে।” আর এটাতেই তাঁর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নজরে এসেছে নেটিজেনদের। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি এটি কোনও পরোক্ষ ইঙ্গিত? কার দিকে আঙুল তুললেন তিনি? শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন, উত্তর এখনও অজানা। আপাতত অভিনেত্রী নিজের মানসিক সুস্থতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন আর দর্শকরা অপেক্ষায় যে তিনি কবে কীভাবে ফিরবেন পর্দায়।
