জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আসানসোল পৌঁছে যায় ঋষিদের পরিবার। সেখানে নিজেদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়, কষ্টে উজির বুকটা ফেঁটে যায়। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেবে না বলেই সে চোখের জল লুকিয়ে রাখে। ওদিকে নিশা আর ভানু ছদ্মবেশে ভিত পুজোর জায়গায় বো’মা লাগিয়ে দেয়।
অবশেষে ভিত পুজোর জায়গায় এসে উপস্থিত হয় ঋষিরা। বাবার জমিতে দাঁড়িয়ে যেন উজি আর নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারে না। অনবরত বাবার স্মৃতি ভেসে ওঠে তার, সেই সঙ্গে চোখের জল। নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখে উজি, কিন্তু ঋষি এসে আরও সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। সে বলে, এই জমিতেই এখানেই দাঁড়িয়ে হরিপ্রসাদ মিত্রের সঙ্গে কথা হয়েছিল।

তিনি টাকার দরকার বলতেই নাকি ঋষি আর না করেনি, এই কথা শুনেই উজি কিছুটা দৃঢ় ভাবে জানতে চায় যে হরিপ্রসাদ কি সত্যিই পুরো টাকাটা পেয়েছিল? ঋষির মনে হয়, উজি তার মুখের কথা বিশ্বাস করছে না। সেই জন্য শঙ্খ আর মেসোকে ডেকেও জিজ্ঞেস করে সে। তারাও উজিকে বলে যে হরিপ্রসাদ সব টাকা পেয়ে গিয়েছিল।
অবশেষে ভিত পুজো শুরু হয়। নিশাও লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে থাকে সবটা। তার মনে বোন উজির প্রতি একটা অদৃশ্য ক্ষোভ জন্মায়, সে মনে করে যে ঋষিকে পেয়ে উজি নিজের বাবাকে দেওয়া কথা ভুলে গেছে। ভানু সাবধান করে নিশাকে যে বো’মা ফাটলে কিন্তু আর পালানোর সময় পাবে না, তাই এখনই পালিয়ে যেতে কিন্তু নিশা একটা কথাও শোনে না।
এদিকে উজির মনে এই ভাবনা আরও শক্ত হচ্ছে যে ঋষি নির্দোষ, তাদের বাবাকে নিশ্চই অন্যকেউ ঠকিয়েছে। ভিত পুজো শেষের পর্যায়, তখন ইট আনতে বলা হয় ঋষিকে। সেই মতো ঋষি যেতেই বিস্ফো’রণ ঘটে। মুহূর্তে সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আর ঋষি গুরুতর অবস্থায় ছিটকে পড়ে দূরে! ছদ্মবেশে থাকা অফিসার জিৎ বসু তৎপর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ ‘এই জন্মে গানেই তৃপ্ত’, অভিনয়ের আলো ছেড়ে কেন সুরকেই বেছে নিলেন জোজো মুখোপাধ্যায়? তার অভিনয় মিস করেন আপনারা?
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছদ্মবেশে থাকা নিশাদের চিহ্নিত করে ফেলে। তাদের পেছনে ধাওয়া করে বহুদূর যাওয়ার পর, বাধ্য হয়ে সে গু’লি করে নিশার পায়ে! আহত অবস্থায় নিশা পালিয়ে যায়। ওদিকে ঋষিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে সে মৃ’ত্যুর সঙ্গে লড়ছে জেনে উজি খুব রেগে যায় নিশার উপর, সে বলে যে এবার দিদি সীমা ছাড়িয়ে গেছে আর এর ফল পেতেই হবে। তবে কি, ঋষির ঢাল হয়ে এবার দাঁড়াবে উজি?
