সপ্তাহ হল শুরু হয়েছে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’ (Tare Dhori Dhori Mone Kori)। ধারাবাহিকের নাম ঘোষণার পর থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। প্রথম প্রোমোতেই বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতদিন বাধে আবার মুখ্য চরিত্রে দেখে অনেকেই নিজেদের উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী ‘পল্লবী শর্মা’র (Pallavi Sharma) উপস্থিতি যেন ধারাবাহিক নিয়ে আগ্রহ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রথম প্রোমোতে পল্লবীকে অতটা দেখা না গেলেও, দ্বিতীয় প্রোমোতে যেভাবে ধরা দিলেন তিনি। সেটা দেখে কেউ নিজের আবেগ চাপা দিয়ে রাখতে পারেননি। সমাজ মাধ্যমে ধারাবাহিকের গল্প এবং পল্লবী বিশ্বরূপ জুটিকে নিয়ে প্রশংসার জোয়ার বয়ে যায়। ধারাবাহিকটি নিয়ে দাবি করা হয় যে, এটি আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে ভালোবাসার একটা মেলবন্ধন ঘটাবে। ব্যতিক্রমী এই গল্পে নাকি কোনও খলচরিত্র নেই! সম্পূর্ণটাই নাকি স্নিগ্ধ এবং ভালোবাসায় ভরা।
ধারাবাহিকটি শুরু হতেই, প্রথম দুই পর্বে বোঝা গেল, আধুনিকতার ছোঁয়ায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর আখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। কারণ পল্লবীকে যে চরিত্রে প্রথম পর্বে দেখানো হয়, সেই ‘রূপমঞ্জুরি’ অর্থাৎ বিশ্বরূপের ‘গোরা’ চরিত্রের স্ত্রী মারা যায় দ্বিতীয় পর্বেই! এখানেই প্রবেশ করে দিতি, যাকে হুবহু রূপমঞ্জুরির মতোই দেখতে! কিন্তু একদিকে রূপমঞ্জুরি যেমন সংসারী আর ভক্তিভাবে আচ্ছন্ন ছিল, দিতি কিন্তু অত্যন্ত আধুনিকা। নাইট ক্লাবে পার্টি, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, এসবই তার স্বভাব।
এমন চরিত্রে পল্লবীকে কখনও দেখা যায়নি, বরাবর সংসারী চরিত্রেই ধরা দিয়েছেন তিনি। এই চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কি বলছেন অভিনেত্রী? পল্লবীর কথায়, “রূপমঞ্জুরি আর অদ্বিতীয়া বা দিতি, দুটিই আমার কাছে একদম নতুন অভিজ্ঞতা। জবা ও পর্ণার থেকে, একদম আলাদা এই দুটি চরিত্র। আমি আগে কখনওই এমন আধ্যাত্বিক পটভূমিতে নির্মিত চরিত্রে অভিনয় করিনি। আবার দিতির মতো এমন পোশাক পরা বা আচার-আচরণও আমার স্বভাব নয়।
তবে এটাই তো একজন শিল্পীর খিদে! অভিনয়ের মাধ্যমে আমরা অনেক চরিত্র বাঁচতে পারি। যেগুলো হয়তো আমার মধ্যেই আছে কিন্তু ওই চরিত্রটা না করলে, সেটা খুঁজে পেতাম না। যেমন আমি একদম পার্টি করি না আর ভালোও লাগে না। বাস্তবে হয়তো চেষ্টাও করতাম না, কিন্তু চরিত্রের খাতিরে এখন করছি আর মিলিয়ে মিশিয়ে দুটো চরিত্রেই অভিনয় করতে আমার বেশ ভালো লাগছে। দর্শক আমাকে এতটা ভালোবাসা দিয়েছেন বলে, আমার দায়িত্ব এবার আরও বেশি!”
আরও পড়ুনঃ “সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল, আচমকাই থমকে গেল জীবন”—নায়িকা থেকে টলিউডের পরিচিত মুখ রিমঝিম গুপ্ত হঠাৎ পর্দা থেকে কেন উধাও? কাজের সুযোগের অভাব নাকি ব্যাক্তিগত কারনে অভিনয় থেকে দূরে অভিনেত্রী ?
এরপর বর্তমানে ধারাবাহিকের অনিশ্চয়তা নিয়ে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের সবার রুটি রুজি এই কাজের জন্যই চলে। কাজেই আমরা কেউ চাইবো না শুরু হয়েই শেষ হয়ে যাক। শুধু এইটুকু বলতে পারি, আমাদের এই ধারাবাহিক সর্বক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। এমন গল্প বাংলা টেলিভিশনে অন্তত আগে কোনদিনও হয়নি। লেখক থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী, সবাই আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি একটা ভালো গল্প দর্শকদের সামনে তুলে দেওয়া।”
