জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, শঙ্খ আসানসোলে হরিপ্রসাদের মেয়েদের খোঁজ করছে পাগলের মতো। সেখানে একজন বলে, তাদের ছবি পাওয়া যেতে পারে অন্যজনের কাছে। কিন্তু তার কাছে পৌঁছাতে জানা যায়, তাদের বাড়িতে আগুন লাগায় নাকি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাই কোনও ছবিই আর অবশিষ্ট নেই।
আশাহত হয়ে শঙ্খ ফিরে আসে। এদিকে ঋষি বড়দিনের দিন হাসপাতাল থেকে ফিরবে বলে, বাড়িতে ক্রিসমাস পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। সারা বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এরই মধ্যে ঋষিও চলে আসে, উজি তাঁকে ঘিরে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, ডাক্তার দেখিয়ে ভানু আর নিশা বাড়ি ফেরে। নিশাকে ডাক্তার দুদিনের জন্য বিশ্রাম নিতে বলেছে।

ক্ষত পায়ের উপর বেশি জোর দিলে, আরও সমস্যা হতে পারে তাই। কিন্তু তখনই জিৎ বসুর ফোন আসে আর তিনি জানতে চান যে নিশা ঋষিদের ক্রিসমাস পার্টিতে যাচ্ছে কিনা। নিশা জানায় যে অবশ্যই যাবে, বিশেষ করে যখন জিৎ তাঁকে সেখানে উপস্থিত থাকবে আশা করছেন। ফোনটা কাটতেই ভানু সাবধান করে নিশাকে।
ভানু বলে যে জিৎ খুব চালাক, এটা ফাঁদ হতে পারে। আর নিশা খুঁড়িয়ে হাঁটছে সেটা দেখে জিৎ তো বুঝেই যাবে যে পায়ে গুলি লেগেছে যখন, তখন নিশাই অপরাধী। কিন্তু নিশা তো যাবেই ঠিক করেছে। এদিকে ঋষির সেবা করতে থাকে উজি। তাকে স্নান করানো, খাইয়ে দেওয়া ইত্যাদি করতে করতে আরও মায়ায় জড়িয়ে পড়ে সে।
আরও পড়ুনঃ ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানে অপর্ণার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার আর্যর! বড় ঘটনা চিরদিনই তুমি যে আমার-এ
ওদিকে আবার মেসো শঙ্খকে পরামর্শ দেয়, যে অফিসার কলকাতায় হরিপ্রসাদের মেয়েকে দেখেছিল তাকে পার্টিতে ডাকতে। কিন্তু তাকে ফোন করতেই জানা যায় যে তার বদলি হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মেসো বলেন, আর কিছু না হোক জ্যোতি আর বিভার ছবি পাঠিয়ে দিতে অফিসারকে। যাতে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওরা হরিপ্রসাদের মেয়ে কিনা।
