একটার পর একটা বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না পরিচালক ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর। কিছুদিন আগেই স্ত্রী তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় মেসি সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন। বিষয়টি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে রাজকে নিজে থানায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন সমস্যার মুখোমুখি তিনি। এবার সরাসরি তাঁর আসন্ন ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বড়সড় অস্বস্তি, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিচালক।
আগামী মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা রাজ পরিচালিত নতুন ছবি হোক কলরব। দর্শকদের মধ্যে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়ার আগেই বিপত্তি। মুক্তির আগেই ছবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য এবং ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি যে সম্পূর্ণ অনৈতিক, তা জেনেও অনেকেই সেই ভিডিও শেয়ার করে চলেছেন। পরিস্থিতি বুঝে আগেভাগেই রাজ সকলকে সতর্ক করেন এবং অনুরোধ জানান যেন কেউ ওই ক্লিপগুলি আর না ছড়ান। তবুও ফাঁসের ঘটনায় ক্ষোভ এবং হতাশা দুইই বেড়েছে তাঁর।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ চক্রবর্তী স্পষ্ট জানান, এই কাজ বাইরের কেউ নয়, ছবির সঙ্গে যুক্ত ভিতরের লোকই করেছেন। তাঁর কথায়, দোষী কে তা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তবে উপযুক্ত প্রমাণ হাতে না আসা পর্যন্ত নাম প্রকাশ করা ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল এবং আইনি পথে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তাঁর একটাই অনুরোধ, কেউ যেন লোভে পড়ে ফাঁস হওয়া ক্লিপ শেয়ার না করেন।
সমাজমাধ্যমেও রাজ নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে লিখেছেন, দর্শকদের কাছে তাঁর আন্তরিক অনুরোধ যেন কেউ এই ধরনের লিঙ্ক ফরোয়ার্ড না করেন এবং প্ররোচনায় পা না দেন। একজন নির্মাতা হিসেবে ছবির মুক্তির আগেই এমন ঘটনা যে কতটা ক্ষতিকর, সেটাও তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের কাজ শুধু একটি ছবির নয়, গোটা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করে এবং সৃষ্টিশীল পরিশ্রমকে অসম্মান করে।
আরও পড়ুনঃ “বক্স অফিসের আসল হিসেব আমি জানি, সংখ্যার খেলায় অনেকেই সুবিধা পায়…সংখ্যা সাজিয়ে দেয়!” বক্স অফিস কারসাজির ইঙ্গিত, অরিন্দম শীলের বিস্ফো’রক দাবি! ভুয়ো কালেকশন-খেলা নিয়ে উত্তাপ বাড়ল টলিউডে!
এর মধ্যেই আর এক বিতর্ক ঘিরে ধরেছে রাজকে। তাঁর পরিচালিত জনপ্রিয় সিরিজ প্রলয় এর দ্বিতীয় পর্ব আসতে চলেছে। সেখানে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বলা ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে একটি সংলাপ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। অনেকের অভিযোগ, ওই সংলাপের মাধ্যমে তরুণ বিপ্লবীকে অসম্মান করা হয়েছে। যদিও রাজ চক্রবর্তীর দাবি, এই বিতর্ক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক রঙে রাঙানো। সব মিলিয়ে একের পর এক বিতর্কের মাঝেও নিজের অবস্থানে অনড় রাজ, আইনি ও নৈতিক দুই দিক থেকেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পথেই হাঁটছেন তিনি।
