টলিউডের তারকাদের সঙ্গে বলিউডের অভিনেতাদের বন্ধুত্ব—এই ছবি খুব একটা চোখে পড়ে না। আলাদা ইন্ডাস্ট্রি, আলাদা কাজের ধরন, আলাদা লাইফস্টাইল—সব মিলিয়ে দুই দুনিয়ার তারকাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সাধারণত আলোচনার বাইরে থেকেই যায়। তাই যখনই কোনও টলিউড অভিনেতার নাম জড়ায় বলিউডের প্রথম সারির তারকার সঙ্গে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল বাড়ে। আর সেই কৌতূহল যদি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ট্রোল আর মিমে বদলে যায়, তাহলে বিতর্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক।
গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে অঙ্কুশ হাজরা ও বরুণ ধাওয়ানের নাম। যেটি এক পুরনো সাক্ষাৎকারের একটি অংশ, যেখানে অঙ্কুশ বলেছিলেন বরুণের জন্য তিনি বেকড রসগোল্লা নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ‘কলঙ্ক’ ছবির ‘বেয়ার বডি’ শুট চলায় সেই মিষ্টি খাননি বরুণ। এই কথাই হঠাৎ করে নতুন করে ভাইরাল হয়, আর তারপর থেকেই শুরু হয় ট্রোলের বন্যা—টলিউডের অভিনেতা কী ভাবে বলিউড তারকাকে ‘তুই-তাকারি’ করে মিষ্টি অফার করেন, তা নিয়েই কটাক্ষ।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে মিম, বিদ্রুপ আর কুরুচিকর মন্তব্য। কেউ প্রশ্ন তোলে ‘অ্যাটিটিউড’, কেউ আবার ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়ে। তবে এই সব ট্রোলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ অঙ্কুশ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য—এরা শুধু একটা বিষয় খোঁজে কথা বলার জন্য। পাবলিক শো-তে এঁরাই আবার সেলফির জন্য প্রথম লাইনে দাঁড়ায়। আজ একজন তারকা, কাল আর একজন—ট্রোলের বিষয় বদলালেও মানসিকতা একই থাকে।
এছাড়াও অভিনেতার জানিয়েছেন এক সময় প্রায় ছয় মাস তিনি মুম্বইতে ছিলেন। সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার প্রশান্ত সাওয়ান্তের কাছে ট্রেনিং নিয়েছেন তিনি—যিনি শাহরুখ খান, অভিষেক বচ্চন, বরুণ ধাওয়ানের মতো তারকাদেরও প্রশিক্ষক। সেই জিমেই আলাপ হয় বরুণ ও অঙ্কুশের। একই সময়ে ওয়ার্কআউট, নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ—স্বাভাবিক ভাবেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। অঙ্কুশের কথায়, বরুণ অত্যন্ত ডাউন টু আর্থ, কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই সহজ ভাবে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয় অভিনেতা অঙ্কুশ জানিয়েছেন “আমি প্রথমদিকে কথা বলতে লজ্জা পেলেও বরুণ নিজে এসে কথা বলতো”
আরও পড়ুনঃ অতীতের অভি’শাপ, নববর্ষের রাতে ঋষির আতঙ্ক! মৃ’ত বিতানের স্মৃতি তাকে পাগল করে দিচ্ছে! উজি ও খেয়ার পরিকল্পনায়, ঋষি কি ভুলে যাবে সেই মর্মা’ন্তিক ঘটনা, নাকি অতীত তাকে তাড়া করবে চিরকাল? ‘জোয়ার ভাঁটা’য় আসন্ন কোন বিপদ অপেক্ষা করছে?
বর্ধমান থেকে উঠে এসে নিজের যোগ্যতায় টলিউডে জায়গা করে নেওয়া অঙ্কুশের কাছে এই বন্ধুত্ব কোনও প্রদর্শনের বিষয় নয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বা পোস্ট করে তা জাহির করার প্রয়োজনও মনে করেননি তিনি। তাঁর কাছে ট্রোল সাময়িক, কাজটাই আসল। সামনে লম্বা কাজের তালিকা, নতুন পরিকল্পনা। আর ট্রোলারদের উদ্দেশে তাঁর অবস্থান একটাই—“কুছ তো লোগ কহেঙ্গে।”
