বড়দিন মানেই বাংলা ছবির জন্য আলাদা উত্তেজনা। বছরের শেষ লগ্নে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলির দিকে দর্শকের নজর থাকে একটু বেশিই। ঠিক তেমনই আবহে প্রেক্ষাগৃহে এসেছে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘মিতিন: একটি খুনির সন্ধানে’। গোয়েন্দা গল্পের টানটান রহস্যের পাশাপাশি এই ছবিতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়—একেবারে অন্য রকম এক চরিত্রে।
ছবিতে সাহেবকে দেখা গিয়েছে এক প্রভাবশালী গান রেকর্ডিং সংস্থার কর্ণধারের ভূমিকায়। বাইরে থেকে সংস্কৃতিমনস্ক, সুশ্রী অথচ ভিতরে ভিতরে রাগী, উদ্ধত এবং নানা নেতিবাচক দিকের সমাহার। রুক্ষ ব্যবহার, গালমন্দ, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক—সব মিলিয়ে তাঁর চরিত্রে এক ধরনের অস্বস্তিকর বাস্তবতা রয়েছে, যা দর্শকের চোখ এড়ায় না। এই দাপুটে খলনায়ক চরিত্রে সাহেবের অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচকদেরও।
তবে পর্দার এই রূপের সঙ্গে বাস্তব জীবনের সাহেবের কোনও মিল নেই বলেই জানাচ্ছেন অভিনেতা নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রেগে গেলেও তাঁর মুখে গালমন্দ আসে না। পর্দায় যে লম্পট, রুক্ষ মানুষটিকে দেখা যাচ্ছে, তা একেবারেই অভিনয়ের প্রয়োজনে তৈরি। গান ভালোবাসলেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি শান্ত, ভদ্র এবং সংসারী মানুষ—নিজের কথায়, “শান্তশিষ্ট, পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক।”
এটাই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও ‘হত্যাপুরী’, ‘অনুসন্ধান’, ‘বিজয়া’, ‘ব্ল্যাক উইডো’-র মতো ছবিতে সাহেবকে খলনায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। অভিনেতার মতে, একবার এই ধরনের চরিত্রে দর্শকের নজরে এলে ইন্ডাস্ট্রিতেও সেই ইমেজ ঘুরে ফিরে আসে। তবে মজার বিষয়, দর্শক নাকি তাঁকে নেতিবাচক চরিত্রেই দেখতে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
আরও পড়ুনঃ “আমি প্রথমে লজ্জা পেলেও বরুণই এগিয়ে এসে কথা বলত”—ট্রোল, কটা’ক্ষ আর রসগোল্লা বিতর্কের মাঝেই অঙ্কুশ হাজরার মুখে ফাঁস তাঁর এবং বরুণের বন্ধুত্বের আসল গল্প! কেন মিষ্টিতে ‘না’ বলেছিলেন বরুণ ধাওয়ান?
সব ধরনের চরিত্রেই নিজেকে ভেঙে গড়তে ভালোবাসেন সাহেব। আর সেই কারণেই হয়তো তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো কাগজের চরিত্র হয়ে না থেকে পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠে—এই বিশ্বাসই বারবার শক্ত করছে তাঁর জায়গা।
