কখনো কখনো কিছু ধারাবাহিক যেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তেমনি অনেক সময় ধারাবাহিকের কোন এক বিশেষ চরিত্র দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান লাভ করে। ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও সেই চরিত্র বা সেই অভিনেতা-অভিনেত্রী দর্শকদের মনে থেকে যান চিরকালের জন্য। এর বহু প্রমাণ আমরা আগেও বহু ধারাবাহিক থেকে পেয়েছি।
তবে সদ্য যে ধারাবাহিক গুলি দেখা যাচ্ছে টিভির পর্দায় তার মধ্যে দর্শকদের কাছে অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন শ্বেতা মিশ্র। এই নামটির সঙ্গে পরিচিত নয় টেলিভিশনের এমন দর্শক এখন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। নায়িকা বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুলোকণাতে মূল খলনায়িকা।
তবে খলনায়িকা হলে কী হবে দর্শক এখন তাঁকেই বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। আসলে খারাপটা না থাকলে ভালোটা ফুটে ওঠে না। তাই ভালোটা যত ভালোভাবে দেখানো উচিত খারাপটাও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখানো উচিত। আর আজকাল টেলিভিশনের দুনিয়ায় ভিলেন চরিত্র সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়।
দর্শকদের মন জয় করতে কোন কসুর রাখেননি অভিনেত্রী। তাইতো জীবনের সবথেকে খারাপ দিনেও শুটিং ছেড়ে যাননি শ্বেতা। জন্ম এবং বড় হওয়া বহরমপুরে। কালার্স বাংলার জাহানারা ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে কেরিয়ার শুরু হয় নায়িকার। তবে অভিনয় জগতে আসার কোন ইচ্ছে ছিল না তাঁর।
কলকাতায় নায়িকা এসেছিলেন গ্র্যাজুয়েশন পড়া শেষ করার জন্য। পাশাপাশি করতেন থিয়েটার। ধীরে ধীরে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মে যায়। তারপর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। কালার্স বাংলার পর এখন স্টার জলসায় দাপিয়ে অভিনয় করছেন তিনি।
তবে কালার্স বাংলায় কাজ করার সময়ই নায়িকার জীবনে একটা ঝড় বয়ে যায়। তখন সবে কাজ শুরু করেছেন হঠাৎ শুটিংয়ের ফাঁকে জানতে পারলেন বাবা মারা গেছে। তবে নায়িকার কর্তব্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা নায়িকাকে সেখানে আটকে রাখল। তিনি বাড়ি যাননি। অবশেষে ১৩ দিনের দিন বহরমপুরে গিয়ে সমস্ত কাজ করেছিলেন।
নায়িকার জীবনের এত কঠিন সময় পাশে ছিলেন মা এবং পার্টনার। বহু মানুষের জীবনে এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় কিন্তু অনেকেই সেই সময় ভেঙে পড়ে। নায়িকা মন থেকে কতটা ভেঙে পড়েছিলেন সেটা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না তবে মানসিকভাবে তিনি সবসময়ই নিজেকে শক্ত রেখেছেন। নায়িকার জীবনের এই ব্যক্তিগত তথ্য সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়জয়কার।