জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

একবার খেলে স্বাদ থাকবে ১ মাস, আগে খেয়েছেন কি ডিম বেগুন?

ডিম বলতেই আমরা বুঝি ডিম কষা বা ডিমের ডালনা বা ডিম ভেজে অমলেট করা। কিন্তু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই পদ এর আগে হয়তো আপনারা ট্রাই করেননি। বানানো ভীষণ সহজ এবং খেতে ততটাই সুন্দর লাগে। ডিম বেগুন রেসিপি আপনাদের জন্য দিলাম। পড়লেই বুঝতে পারবেন খুব কম উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই একটা দুর্দান্ত রেসিপি তৈরি করা সম্ভব। যেদিন গুলোতে খুব ব্যস্ততা থাকবে সেদিন দুপুরে অথবা রাতে চট করে বানিয়ে নিতে পারেন ডিম বেগুন। লাঞ্চ অথবা ডিনার যে কোনো সময়েই খেতে খুব ভালো লাগবে এই পদ। আর যেহেতু এটাতে খুব বেশি মশলা লাগে না তাই স্বাস্থ্যের দিক থেকেও ভালো।

উপকরণ: ১. বেগুন
২. ডিম
৩. পেঁয়াজ কুচি
৪. শুকনো লঙ্কা
৫. পরিমাণ মত নুন
৬. রান্নার জন্য তেল

পদ্ধতি: বাজার থেকে একটু মোটা মোটা বেগুন কিনে সেগুলোকে ধুয়ে মাঝ বরাবরের কেটে নিতে হবে। এরপর ভেতরের অংশটা একটা বাতির মত করে চামচ বা ছুরি দিয়ে চেঁছে বের করে নেবেন। এই বেগুন গুলোকে সামান্য নুন জল দিয়ে কিছুক্ষণ জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। একটা পাত্রে কিছুটা গরম কড়ায় নেড়ে নেওয়া শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণ মত নুন আর কিছুটা তেল দিয়ে ভালো করে হাতে করে গুঁড়ো করে নেবেন। জল থেকে বেগুনগুলোকে বের করে পেঁয়াজ ও লঙ্কার মিক্স বেগুনের ভেতরে তৈরী করা খালি অংশের মধ্যে দিয়ে চামচের সাহায্যে চেপে ভরে দেবেন। একটা পাত্রে দুটো ডিম ফাটিয়ে নিয়ে সেটাকে ভালো করে ফেটিয়ে বেগুনের বাকি খালি অংশের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ পেঁয়াজ লঙ্কা দেওয়ার পর তার ওপর ডিম দিয়ে দেবেন। গ্যাসে কড়া বা ফ্রাইং প্যান বসিয়ে তাতে কিছুটা তেল দিয়ে গরম করে প্রথমে ডিমের দিকটা ওপরে রেখে ঢাকা দিয়ে ২-৩ মিনিট মত ভেজে নেবেন। তারপর ঢাকনা খুলে দেখবেন ডিম কিছুটা রান্না হয়ে গেছে তখন বেগুন গুলোকে উল্টে আবারও ২-৩ মিনিট মত ঢাকনা দিয়ে ভেজে নেবেন। ডিম বেগুন তৈরী। ভাত, খিচুড়ি কিংবা রুটির সাথেও খাওয়া যেতে পারে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page