বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে ভোজন আসক্তি পাল্টে যায়। আমিষ আর নিরামিষ এই দুই ভাগের কথাই বলছি। আজ রবিবার হলেও বেশিরভাগ মানুষই আজ নিরামিষ আহার করবেন। কারণ আজ রামনবমী। তাছাড়াও রোজ মাছ মাংস কারই বা পছন্দ?
এই পবিত্র দিনে ঘরে ঘরে আজ নিরামিষ রান্নার বাহার। আপনিও কি মানছেন এই রীতি? এদিকে বাড়িতে এসেছেন অতিথি। চিন্তা নেই, এই বনেদি পদ মন কেড়ে নেবে সবার। বাংলার ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ ধোকার ডালনা রেসিপি রইলো আপনাদের জন্যে।
উপকরণ: ১ কাপ মটর ডাল, ৩ টেবিল চামচ জিরা বাটা, ২ চিমটি হিং, ১/২ কাপ ছোলার ডাল, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টি শুকনো লঙ্কা, গোটা এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফোঁড়নের জন্য, ১/২ চা চামচ গোটা জিরে, ৫ টি কাঁচালঙ্কা, নুন, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ গুঁড়ো লঙ্কা, ১/২ চা চামচ ঘি, স্বাদ মত চিনি, পরিমাণ মত সর্ষের তেল, ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো।
প্রণালী: ডাল গুলোকে হালক গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন এক ঘন্টা মতন। ভেজানো ডাল কে মিক্সিতে একটি কাঁচা লঙ্কা, নুন, হলুদ, অল্প চিনি দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নেবেন।
কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে তার মধ্যে হিং ফোড়ন দিয়ে ডালটাকে নেড়ে নেবেন। শুকনো করে নিয়ে তেল মাখানো থালায় ঢেলে খানিকক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। ডালের পেস্টটা সেট হয়ে গেলে বরফির আকারে কেটে কড়াইতে তেল গরম করে ভেজে নিন।
গোটা জিরে, তেজপাতা শুকনো লঙ্কা,গরম মসলা ফোড়ন দিয়ে আদা বাটা, জিরে বাটা, লঙ্কাগুঁড়ো,লবণ, হলুদ,মিষ্টি দিয়ে কষিয়ে নেবেন। এবার জল ঢেলে দিন পরিমাণমতো। জল ফুটে উঠলে তার মধ্যে ধোঁকা গুলো দিয়ে খানিকক্ষণ ফুঁটিয়ে নেবেন। নামানোর আগে গরম মসলা গুঁড়া, সামান্য ঘি, কাঁচালঙ্কা চিরে উপর থেকে দিয়ে দিন। গরম ভাত বা লুচি-পরোটা দিয়ে বেশ জমে যাবে।