জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘মেয়েছেলে নয়, আমায় মহিলা বলুন…আমি একজন মহিলা আর এটাই আমার পরিচয়!’ নারী হিসেবে আগে নিজেকে গর্ববোধ করতে হবে, মিতিন মাসির নতুন তদন্তে নারীত্ব আর আত্মমর্যাদার বার্তা ছড়ালেন কোয়েল মল্লিক!

শীতের ছুটির আবহে ফের একবার উত্তেজনার বাড়াতে নতুন রহস্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন মিতিন মাসি (Mitin Mashi) । বড়দিনে পর্দায় আসছে নতুন ছবি, তার আগেই প্রকাশ্যে এসেছে ‘মিতিন একটি খুনির সন্ধানে’ ছবির ট্রেলার এবং গান আর তা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে কৌতূহল। গত মঙ্গলবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ভিড় আর উচ্ছ্বাসের মাঝেই ছবির ঝলক প্রথমবার দেখানো হল। মঞ্চে ছিলেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mullick) সহ ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রায় সব মুখ এবং পরিচালক অরিন্দম শীল। এই ছবির হাত ধরেই মিতিন মাসি ফিরছে তার তৃতীয় তদন্তে, তবে আগের বারের মতো শুধু রহস্য নয়।

এবার গল্পের ভিতরে লুকিয়ে আছে অনেক বেশি মানসিক টানাপড়েন। তবে, অন্যান্য অভিনেতাদের ভিড়ে আবারও এই ছবিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন কোয়েল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন মিতিন মাসির চরিত্রটাকে নিজের মতো করে আরও গভীর করে তুলেছেন। শুধু একজন গোয়েন্দা হিসেবে নয়, একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবেও মিতিন এখানে ধরা দেবে। তদন্তের পথে নানা চরিত্রের সঙ্গে তার কথোপকথন, পরিস্থিতির প্রতি তার প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে কোয়েলের অভিনয়ে একটা পরিণত ছাপ স্পষ্ট।

মিতিনের আত্মবিশ্বাস আবার কোথাও কোথাও দ্বিধা, এই দুই বিপরীত অনুভূতির ভারসাম্য কোয়েল খুব স্বাভাবিকভাবে ধরে রেখেছেন। এই ছবিতে বাইরে থেকে সাধারণ মনে হওয়া এক ঘটনাই ধীরে ধীরে জটিল আকার নেয়, যখন মিতিন অনুসন্ধানে নামে। তদন্ত যত এগোয়, ততই খুলতে থাকে সম্পর্কের গোপন স্তর, পুরনো স্মৃতি আর চেপে রাখা ক্ষত। এই গল্পের অনুপ্রেরণা প্রয়াত সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা থেকে নেওয়া, যা বরাবরই শহুরে জীবনের অন্ধকার দিকগুলোকে আলাদা চোখে দেখিয়েছে।

পরিচালক অরিন্দম শীলের নির্মাণে এবার মিতিন মাসি আরও সংযত, আরও আত্মবিশ্লেষণী। গল্প একেবারে সরল পথে হাঁটবে না বরং ধাপে ধাপে নিজেকে মেলে ধরবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। সাহেব চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, কনীণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের উপস্থিতি ছবিটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে, তবে কেন্দ্রে রয়েছেন কোয়েল মল্লিকই। এদিন তাই কোয়েলকে জানতে চাওয়া হয়, এতগুলো রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে কি কোথাও নিজেকে গোয়েন্দা মনে হচ্ছে? অভিনেত্রী হেসে উত্তর দেন, তিনি কোনদিনও সজ্ঞানে গোয়েন্দাগিরি করেনি।

তবে, অজান্তেই ছোটবেলায় হয়তো দুই একবার করে ফেলেছেন। তারপর জানতে চাওয়া হয়, মিতিন মাসি করে বা এই চরিত্রটা থেকে কী প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর? কোয়েলের কথায়, “মিতিনের মধ্যে যেটা প্রধান নারীদের সবচেয়ে বড় গুণ, সেটা হচ্ছে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে সবকিছু আন্দাজ করে নেওয়ার ক্ষমতা। মিতিন নারী হিসেবে গর্ববোধ করে নিজের উপর। ওর মধ্যে একটা আত্মমর্যাদা কাজ করে যে আমি একজন মহিলা! তাই কাউকে মেয়েছেলে বলতে শুনলে, সে বলে যে মহিলা বলুন!” কোয়েলের অভিনয়ের উপর ভর করেই, মিতিন মাসি আবার শহুরে রহস্যের গলিপথে দর্শককে টেনে নিয়ে যাবে নিশ্চিতভাবে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page