বাংলা টেলিভিশনের দর্শকের কাছে অভিনেত্রী জ্যাসমিন রায় পরিচিত মুখ। কেরিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। কখনও আদর্শ মেয়ে, কখনও সহানুভূতিশীল নারী, আবার কখনও ভয়ংকর দাপুটে খলনায়িকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দর্শকের একটাই প্রশ্ন, কেন তাঁকে এত কম দেখা যাচ্ছে পর্দায় এবং কেন বার বার তাঁকে নেতিবাচক চরিত্রেই দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে রূপমতী ধারাবাহিকে জ্যাসমিনের চরিত্র বেশ দুষ্টু স্বভাবের, যা আবারও নজর কেড়েছে দর্শকের।
একটানা খলচরিত্রে অভিনয় কি অভিনেত্রীর কাছে একঘেয়ে হয়ে উঠছে না। এই প্রশ্ন উঠলেও জ্যাসমিনের উত্তর একেবারেই ভিন্ন। তাঁর মতে, নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অভিনয়ের আসল মজা। তিনি বিশ্বাস করেন, ভাল চরিত্র সব পরিস্থিতিতে প্রায় একই রকম থাকে। কিন্তু খলচরিত্রে রয়েছে নানা স্তর, নানা রঙ, যা একজন শিল্পীকে বার বার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করায়।
জ্যাসমিন মনে করেন, দুষ্টু চরিত্র মানেই শুধুই খারাপ নয়। অনেক সময় সেই চরিত্রের ভিতরেও মানবিক দিক থাকে, আবেগ থাকে, এমনকি বদলে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অভিনেত্রী নিজেই বলেন, কখনও কখনও এমন চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর মনে হয় চরিত্রটা ভাল হয়ে গিয়েছে। এই রকম অনুভূতিই তাঁকে বার বার এমন চরিত্রের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, কোনও একটি চরিত্রে সাফল্য পেলে সেই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাবই বেশি আসে। জ্যাসমিনের ক্ষেত্রেও কি তেমনটাই ঘটেছে। অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, তিনি নিজেই এই ধরনের চরিত্র পছন্দ করেন। তাই সুযোগ এলে তা ছেড়ে দিতে চান না। তাঁর কাছে এই চরিত্রগুলো একেবারেই একঘেয়ে নয়।
আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েছেলে নয়, আমায় মহিলা বলুন…আমি একজন মহিলা আর এটাই আমার পরিচয়!’ নারী হিসেবে আগে নিজেকে গর্ববোধ করতে হবে, মিতিন মাসির নতুন তদন্তে নারীত্ব আর আত্মমর্যাদার বার্তা ছড়ালেন কোয়েল মল্লিক!
খলচরিত্রে অভিনয় করেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ জ্যাসমিন রায়। দর্শকের প্রতিক্রিয়াও তাঁর কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্র যদি আলোচনায় থাকে, যদি দর্শক রেগে যান বা ভালোবাসেন, তাতেই শিল্পীর সাফল্য বলে মনে করেন তিনি। তাই পর্দায় দুষ্টু রূপেই আপাতত খুশি জ্যাসমিন, আর সেই রূপেই দর্শক তাঁকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন।
