জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

উজির চোখ খুলে দিল ঋষির স্বীকারোক্তি, বাবার মৃ’ত্যু নিয়ে ভুল ধারণার অবসান! আসানসোলের জমি রহস্য প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড়! ‘জোয়ার ভাঁটা’য় সত্যের মুখোমুখি উজি, এবার শাস্তি দেবে আসল অপরাধীদের!

জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, নিশার সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে উজি দুশ্চিন্তায় ঘরে থেকে ছুটে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ঋষির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। উজির এই রকম বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে ঋষি ঘাবড়ে যায়। উজিকে জানতে চাইলে, সে কিছু বলে না। তবে, ঘরে নিয়ে গিয়ে উজিকে কিছু একটা জরুরী কথা বলতে যাবে ঋষি কিন্তু গয়না চুরি করা অপরাধী ধরা পড়েছে কিনা জানতে চেয়ে উজি কথা ঘুরিয়ে দেয়।

ঋষি জানায়, এখনও পর্যন্ত ধরা না পড়লেও এবার জিৎ বসু যে প্ল্যান করেছে সেটা কিছুতেই বিফলে যাবে না। এইসব শুনে উজি আরও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে নিশার কথা ভেবে। ইতিমধ্যেই চোরবাজারে ছদ্মবেশী জিৎ বসুর মুখোমুখি হয় ছদ্মবেশী নিশা। সোনার গয়নাগুলো দেখতে চায় অফিসার, কেনার আগে। কিন্তু নিশা বলে যে টাকা না দেওয়ায় পর্যন্ত তিনি গয়না দেখতে পারবেন না। এরপর টাকা পেতেই নিশা ভানুকে গয়না আনতে পাঠায়, আর তাকে সঙ্গ দেন গয়নার দোকানের মালিক।

এদিকে দু’জন পুলিশকে ভানুদের পেছনে যেতে বলে জিৎ। নিশা কিছুটা আন্দাজ করতে পারে ভানুকে ফোন করে রাখে। সবাই চলে যেতেই জিৎ নিশাকে প্রশ্ন করে যে এই গয়না কি ঋষিদের কাছ থেকে চুরি করা? নিশা এবার রেগে গিয়ে কিছু একটা বলার আগেই সব পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে বন্দুক তাক করে মাথায়। ওদিকে ভানু সবটা শুনে সতর্ক হয়ে যায়। সবার চোখে ধুলো দিয়ে ভানু পালিয়ে যায় আর এদিকে নিশার ছদ্মবেশ খুলতে বলে জিৎ, কিন্তু নিশার সঙ্গে করে আনা পেপার স্প্রে ব্যবহার করে সবাইকে ঘায়েল করে পালিয়ে যায়।

এদিকে ঋষির বোন খেয়া আর ভাই মিলে উৎসাহ প্রকাশ করতে থাকে আসানসোল যাওয়া নিয়ে। ঋষি বলে যে, সেও খুব উৎসাহী আসানসোলের প্রকল্পটা নিয়ে। উজির কানে আসানসোল শব্দটা যেতেই, তার বাড়ির কথা আর বাবার কথা মনে পড়তে থাকে। এরপর ঋষি বলে, যার কাছ থেকে ওই জমিটা কিনেছিল তিনি খুব ভালো মানুষ। বড় মেয়ের বিয়ে আর ছোট মেয়ের পড়াশোনার জন্য টাকা লাগবে বলেই বাধ্য হয়ে জমিটা বিক্রি করেছিলেন তিনি ঋষি বলে, ওনার সঙ্গে কথা বলে জমিটা কিনতে দেরি করিনি আর সময়মতো সব টাকাও দিয়েছিলাম।

ঋষি আরও বলে, বড় মেয়ের বিয়েতে তিনি নিমন্ত্রণ করেছিলেন কিন্তু কোনও কারণবশত যেতে পারেনি তবে উপহার পাঠিয়েছিল। ঋষি চায়, এবার ওই জমিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য আবাসন তৈরি করবে আর সেটার ভিত উজি স্থাপন করবে আর যার কাছ থেকে কেনা জমি, তাকেও আমন্ত্রণ করবে। সবটা শুনে উজির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। যাকে এতদিন বাবার খু’নি ভেবেছে, সে কিনা জনেই না যে উনি মা’রা গাছেন! ঋষি বলছে সব টাকা মিটিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু উজি তো জানে বাবা টাকা পায়নি! তাহলে ঋষি কি নির্দোষ? আসল দোষী কে? এই দ্বন্দ্বে পড়ে যায় উজি এবার!

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page