জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিদেশফেরার পরই শ্রীময়ীর জীবনে নেমে এল শো’কের ছায়া, পরিবারে ঘটে গেল বড় অঘটন!

বিদেশ সফর সেরে দেশে ফিরেই কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। আনন্দ আর নতুন কাজের প্রস্তুতির মাঝেই হঠাৎ ভেঙে পড়ল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। চট্টরাজ পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক, হারিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রীর প্রিয় দাদু। আসানসোলে মামার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না শ্রীময়ী। চোখের জল আর কাঁপা গলায় দাদুর কথা বলতে গিয়ে বারবার থেমে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।

দাদুর বয়স হয়েছিল ছিয়ানব্বই বছর। বয়সের সংখ্যাকে হার মানিয়ে তিনি ছিলেন একেবারেই সুস্থ। ঘটনার দিন সকালেও চা খেয়েছিলেন, পরিবারের সঙ্গেও স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছিল। শুধু শরীরে সামান্য অস্বস্তির কথা বলেছিলেন। সেই কারণে ঘরেই বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই সব বদলে যায়। ঘরে গিয়ে দেখা যায় তিনি আর নেই। মুহূর্তের মধ্যেই সুখের সংসারে নেমে আসে শোকের অন্ধকার।

এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে রইল শ্রীময়ীর জীবনের এক গভীর আক্ষেপ। তাঁর একমাত্র মেয়ে কৃষভির সঙ্গে দাদুর আর দেখা হল না। বহুদিন ধরেই পরিকল্পনা ছিল মেয়েকে নিয়ে আসানসোলে যাওয়ার। কাজের ব্যস্ততায় সময় বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। ভেবেছিলেন শুটিং থেকে একটু ছুটি পেলেই পরিবার নিয়ে মামাবাড়ি যাবেন। সেই ইচ্ছা আর পূরণ হল না। যদিও দিদা কলকাতায় এসে নাতনিকে দেখে গিয়েছিলেন, সেটাই এখন একমাত্র সান্ত্বনা।

এই মুহূর্তে সদ্য নতুন ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করেছেন শ্রীময়ী। কাজের চাপে থাকলেও এমন দুঃসংবাদে সব কিছু থমকে গিয়েছে। মাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এখন আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। পরিবারের পাশে থাকা আর শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেওয়াই এখন তাঁর প্রধান দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে অভিনয়ের ব্যস্ততা আপাতত পেছনে চলে গিয়েছে।

এদিকে ছোট্ট কৃষভি কলকাতার বাড়িতেই রয়েছে। তার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। পরিবার মিলেই এই কঠিন সময় পার করার চেষ্টা করছে। জীবনের এই আকস্মিক ধাক্কা শ্রীময়ীকে নতুন করে বুঝিয়ে দিল সম্পর্কের মূল্য আর সময়ের গুরুত্ব। আনন্দের মাঝেই যে এমন গভীর শোক লুকিয়ে থাকতে পারে, তা হয়তো তিনি কোনওদিন ভাবেননি।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page