জি বাংলার ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) গল্প এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে গল্পের মোড় নিয়ে যেমন আলোচনা বাড়ছে, তেমনই চরিত্রগুলোর সম্পর্কও দর্শকদের ভাবাচ্ছে। উজি ও ঋষির গল্প এখন আর শুধু পর্দার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমের কথোপকথনে। উজি চরিত্রে ‘আরাত্রিকা মাইতি’র (Aratrika Maity) সাবলীল অভিনয় আর ঋষির ভূমিকায় ‘অভিষেক বীর শর্মা’র (Abhishek Veer Sharma) সংযত উপস্থিতি মিলিয়ে গল্পে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত টান।
কখনও ভুল বোঝাবুঝি, কখনও প্রতিশোধের চাপ আবার কখনও না বলা অনুভূতি মিলিয়ে তাদের সম্পর্কের ওঠানামা ধারাবাহিকটিকে অন্য মাত্রা দিচ্ছে। গল্পের রহস্যময় দিক যতটা আকর্ষণ করছে, তার চেয়ে কম নয় এই দুই চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্ব। পর্দায় যেখানে উজি আর ঋষির সম্পর্ক টানাপোড়েনে ভরা, বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ছবি ধরা পড়ছে। শুটিংয়ের ফাঁকে বা সাক্ষাৎকারে আরাত্রিকা ও অভিষেকের সহজ স্বাভাবিক বন্ধুত্ব বারবার চোখে পড়েছে দর্শকদের। সম্ভবত এই পারস্পরিক স্বাচ্ছন্দ্যই তাদের অভিনয়কে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে।
সাম্প্রতিক পর্বগুলিতে দুজনের অভিনয় নিয়ে অনেকেই সমাজ মাধ্যমে নানান রকমের আলোচনা করেন। একজন যেমন লিখেছেন, ‘এই জুটিকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই, সবটাই পর্দায় বোঝা যাচ্ছে!’ শুটিংয়ের ফাঁকে এদিন এক অফস্ক্রিন আলাপচারিতায় আরাত্রিকাকে জানতে চাওয়া হয়, বিয়ের পর কি ঋষির মধ্যে উজি কোনও পরিবর্তন লক্ষ করছে? শত্রুতা কাটিয়ে কি এবার ঋষি ও উজির প্রেম দেখতে পাবেন দর্শক? আরাত্রিকা বলেন, “রক্ত-মাংসের যদি মানুষ হয়, ঋষি ব্যানার্জির মতো একজনের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে তার বিনিময়ে ভালোবাসা দিতেই হবে।
আগে যেমন ঋষিকে শয়তান ভাবত উজি, এখন সেই ধারণা ভেঙে গিয়ে ভগবান মনে করছে সে ঋষিকে। দিদি নিশার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত করেছে সে, সাত দিনের মধ্যে ঋষির সততার প্রমাণ এনে দেবে।” অভিষেকের কথায়, “ঋষি তো সেই দ্বিতীয় পর্ব থেকেই উজির প্রেম হাবুডুবু খাচ্ছে। জ্যোতি মানে উজি খালি কাছে আসতে দিচ্ছে না, পালিয়ে যাচ্ছে!” আরাত্রিকাকে এরপর জানতে চাওয়া হয়, অভিষেককে ঋষি ব্যানার্জি চরিত্রটাতে তার কেমন লাগছে? আরাত্রিকার কথায়, “ঋষি এক্কেবারেই আদর্শ একটা ছেলে।
বউ বলছে দূরে থাকো, তো ও বলছে আচ্ছা কত দিন থাকব? এরম দেবতার মতো মানুষ, যার কোনও কিছুতেই মাথা গরম হয় না। দর্শকরাও যেটা বলেন, আমিও ওটাই বলতো যে বাস্তবে জীবনেও ঋষি ব্যানার্জির মতোই একটা জীবনসঙ্গী চাই আমার! এত ভালো মানুষ কী করে হয়?” পরবর্তীতে অভিষেককে জানতে চাওয়া হয়, পর্দার বাইরেও কি সে ঋষির মতো সংযত? অভিষেকের কথায়, “এটা বাস্তবে হয় না। সব মানুষেরই একটা সহ্যশক্তি আছে, সীমা অতিক্রম করে গেলে আর নিজেকে ধরে রাখা যায় না।
আরও পড়ুনঃ “সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলোয়ার্স না থাকলে কাজ মেলে না—এই কথায় আমি বিশ্বাসী নই”! লাইকের দৌড়ে যখন ইন্ডাস্ট্রি ব্যস্ত, তখন পল্লবী শর্মার স্পষ্ট অবস্থান! ডিজিটাল জনপ্রিয়তার বাইরে কি আজও কাজের জোরেই টিকে থাকার লড়াই জেতা সম্ভব বলে মনে করেন অভিনেত্রী?
তবে চেষ্টা করি কম প্রতিক্রিয়া দেওয়ার।” বড়পর্দায় আরাত্রিকার প্রথম কাজ নিয়েও এদিন খুব উৎসাহিত দেখা গেল অভিষেককে। সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি এবং প্রিমিয়ারে আমন্ত্রণ পেলে যাবেন বলেও জানান। শত্রুতার আড়ালে জমে ওঠা অনুভূতি হোক বা নীরব বোঝাপড়া, খুব বেশি নাটকীয় না হয়েও তারা যে আবেগটা ফুটিয়ে তুলছেন, সেটাই দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করছে। আর সেই কারণেই উজি-ঋষির গল্প এখন ধারাবাহিকপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
