জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ধোঁকা দিয়ে স্বামী অন্যত্র ঘর বেঁধেছিল! প্র’তা’র’ণা করে প্রেমিক‌ও! মেয়েকে নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে কেটেছে অভিনেত্রী মল্লিকা ব্যানার্জীর জীবন

তাঁকে মানুষ চেনেন সিনেমা আর ধারাবাহিকের দৌলতে। গল্পের প্রয়োজনে কখনও ইতিবাচক, আবার কখনও ঘোর নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। অন্যের সংসার ভাঙতে দুবার ভাবেন না। তবে অভিনেত্রী মল্লিকা ব্যানার্জির (Mallika Banerjee) বাস্তব জীবনটাও যে ধারাবাহিকের গল্পের মতো ওঠানামায় ভরপুর, তা কজন জানতেন? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জীবনের চড়াই-উতড়াই ভরা বাস্তব কাহিনি শোনান অভিনেত্রী।

কী বললেন অভিনেত্রী মল্লিকা ব্যানার্জি?

বেলুড়ের মেয়ে মল্লিকা। বাবা ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। যখন তিনি ক্লাস এইটে পড়েন তখন তাঁর জীবনে ঘটে যায় অঘটন। অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর বাবা। এড়িয়ে যান আত্মীয়রাও। তখন একাই মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। মাকে সাহায্য করতে অল্পবয়সে নাচের স্কুল খুলে ফেলেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি ছবি বা ধারাবাহিকে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সারের কাজ করতেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী মল্লিকা চক্রবর্তীর অভিনয়ে হাতেখড়ি হল কবে?

তখন থেকেই মনে সুপ্ত ইচ্ছে ছিল তিনি অভিনেত্রী হবেন। তবে সে ইচ্ছে পূরণ হয় অনেক পড়ে। অল্প বয়সে বিয়ে করে নেন মল্লিকা। ভালোবেসে এক কাপড়ে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। বিশ্বাসে বেঁধেছিলেন ঘর। এক সন্তানের মাও হন। মেয়ের বয়স যখন ৯ বছর তখন এই বিশ্বাস চুরমার হয়ে যায় মল্লিকার। তাঁর স্বামী তাঁকে ফেলে অন্যত্র সংসার শুরু করে। মাথায় বিপুল ঋণের বোঝা নিয়ে অভিনয় জগতের পা রাখেন মল্লিকা।

একজন কাছের বন্ধু অডিশনের খবর দিতে, সেখানে প্রথম চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। নির্বাচিতও হন। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক ‘সোহাগে সিঁদুর’। মল্লিকা জীবনে আরেকবার বিশ্বাস করেছিলেন অন্য একজনকে। তাঁর কথায় ছেড়েছিলেন অভিনয়। কিন্তু পরে ভুল ভাঙে তাঁর।

আরও পড়ুন: মিথ্যের পর্দা ফাঁস! ছন্দকের থেকে রূদ্রর আসল রূপ জেনে গেল রোহিত-ফুলকি! তবে কী এবার শাস্তি পাবে রুদ্র?

সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে আরও একবার কাজ শুরু করেন তিনি। আজ তাঁর বাড়ি, গাড়ি সবকিছুই হয়েছে নিজের পরিশ্রমের ফলে। বোনেরাও স্বাবলম্বী হয়েছেন। সকলকে নিয়ে ভাল আছেন মল্লিকা। তবে বাবার কথা মনে পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। অপেক্ষায় আছেন হ্যাপি এন্ডিংয়ের।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।