বাঙালির বিনোদনের অন্যতম বড় ক্ষেত্র বাংলা টেলিভিশনে ধারাবাহিকগুলির পাশাপাশি কিন্তু নন ফিকশন শো গুলিও দর্শকদের কাছে ভীষণ রকমের জনপ্রিয়। আর এই শো’গুলির মধ্যে অন্যতম হল জি বাংলার পর্দায় চলা দিদি নাম্বার ওয়ান। এই শো’টির সঞ্চালিকা একদা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)।
বলাই বাহুল্য, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী হলেন রচনা ব্যানার্জী। তবে অভিনয়, সঞ্চালনার পাশাপাশি এখন সফল ব্যবসাদার তিনি। শুধু কি তাই! এখন তো রাজনীতিকও তিনি। সদ্যই তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে রাজনীতি রাঙিনায়। তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আর সেটাই যেন কা’ল হয়ে উঠেছে তার জীবনে।
একটা সময় যে রচনা ব্যানার্জীর নাম শুনলে মানুষের মাথা সম্ভ্রমের সঙ্গে নী’চু হতো। যে অভিনেত্রীকে মানুষ দারুণ পছন্দ করতেন আর আজ তাকে নিয়েই রীতিমতো খি’ল্লি চলছে। সৌজন্যে অভিনেত্রীর নিজেরই কিছু বক্তব্য! বাংলায় শিল্প হয়েছে বোঝাতে গিয়ে তার ধোঁয়া ধোয়া মন্তব্য, বা গরুর রচনা সবকিছুর জন্যই সোশ্যাল মাধ্যমের তীব্র ক’টা’ক্ষবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রীর বোকা বোকা মন্তব্য, অদ্ভুত হাসির কারণে তাকে পা’গ’ল বলে ক’টাক্ষ করেন বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবার বং গাই। আর এই সমস্ত বিষয়ে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল রচনা। প্রচারের ফাঁকে এই বিষয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখ খুলে অভিনেত্রী বলেছেন, আগে আমার হাসিটা ছিল সবার কাছে ছিল দারুণ উপভোগ্য, আর এখন আমার হাসিটা শুনে লোকে বলছে পা’গ’ল।
যদিও নেগে’টিভি’টিকে বিশেষ একটা পাত্তা দেন না অভিনেত্রী। তার সাফ কথা, তাকে নিয়ে মিম তৈরি করে যদি কিছু মানুষের রোজগার হয়, ফলোয়ার্স বাড়ে, টাকা আসে তাতে তিনি খুশি। অভিনেত্রীর কথায়, আমি সবকিছু পজিটিভ ভাবেই দেখি। এই মি’ম করাকেও সেই হিসেবে দেখছি। নেগেটিভ কিছুই দেখি না। এবার দেখার হুগলির মানুষ রচনা ব্যানার্জীর এই বোকা বোকা হাসিতে ভুলে তাকে ভোটে জয়ী করেন কিনা!