জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ম’দ ছিল মহুয়ার ভীষণ প্রিয়!মজা করে দু’বছরের ছেলেকেও ম’দ খাওয়াতেন অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরী

৩৯ বছর পরেও তাঁর মৃত্যু রহস্যে ঢাকা। ১৯৮৫-এর ২২ জুলাই, বাংলা সিনে দুনিয়ার অন্যতম অন্ধকার দিন। আগুনে প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল কিংবদন্তী অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরীর (Mahua Roy Chowdhury) শরীর। মৃত্যুর আগে যাঁর হাতে নাকি ২২টি ছবির কাজ ছিল! যদিও শেষ করেছিলেন মাত্র ৪টি ছবি। ৭টি অর্ধসমাপ্ত ও ১১টিতে সই করেছিলেন মাত্র।

এহেন অভিনেত্রীর বান্ধবী ছিলেন অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল। দুজন ছিলেন সমসাময়িক। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিক জগতে বহুল পরিচিতি অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। বান্ধবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মহুয়া প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি রত্নার। কী বললেন তিনি?

WhatsApp Image 2024 07 23 at 2.25.19 PM

বান্ধবী অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরী প্রসঙ্গে কী বলছেন রত্না ঘোষাল?

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, সুন্দরী অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরী নাকি মদ খেতে ভালোবাসতেন খুব। গোলাকেও খাওয়াতেন। দুবছরের ছোট্ট বাচ্চাকে মদ খাওয়াতেন কেন? প্রশ্নের উত্তরে মজা করে অভিনেত্রী বলতেন, ”ওর বাবা-মা খায়, ও কেন খাবে না! ও খাবে। তখন গোলার দু-আড়াই বছর বয়স। গোল, মোটাসোটা মুখ ছিল ওর। তাই নাম ছিল গোলা।”

মহুয়ার ছেলে ছিল শান্তশিষ্ট স্বভাবের। বাবা-মায়ের পাশে চুপটি করে বসে থাকত। তাকে নিয়ে কোনও ঝুটঝামেলা ছিল না। অভিনেত্রী আরও বলেন, ”ওর বাবা-মা খেত, ও খেত। এরকম করে আড্ডা মেরে আমাদের দিন কাটতো।” মহুয়া রায় চৌধুরীর বাড়িতেই বসতো সিংহভাগ আড্ডা।

পুরোনো বান্ধবী প্রসঙ্গে অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল বলেন, একেবারে দিলখোলা মানুষ ছিলেন মহুয়া। মনের দিক থেকে ভীষণ ভাল ছিলেন অভিনেত্রী। তবে একটাই দোষ ছিল, মহুয়া ড্রিংক করতো তিনি। মদের নেশায় আসক্ত ছিলেন অভিনেত্রী।

WhatsApp Image 2024 07 23 at 2.27.30 PM

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।