Anurager Chhowa Today Episode: স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক (Bengali Serial) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। ধারাবাহিকের গল্পের নায়িকা দীপা। শ্যা’মবর্ণা নায়িকা দীপার জীবনযু’দ্ধের কাহিনি ও ওঠাপড়ার গল্প নিয়ে বেঙ্গল টপারের শিরোপা জিতেছে এই ধারাবাহিক। বর্তমানে টানা বছর দুয়েক সম্প্রচারের পর কাহিনিতে এসেছে স্থিতিশীলতা। ফলত, টিআরপি কমে অনুরাগের স্থান হয়েছে ষষ্ঠ বা সপ্তমে। যদিও, অনুরাগীদের গল্প নিয়ে উৎসাহে একবিন্দু ভাটা পড়েনি।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ১৭ই এপ্রিল (Anurager Chhowa Today Episode 17 April)
ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে খুশির আবহ দীপার ভক্তদের জন্য। পছন্দের নায়িকার জীবনে দুঃখের অবসান হয়েছে। সূর্য অস্ত গেছে দীপার মনে। সূর্যকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে ইরার সঙ্গে সুখে থাকতে দেখে, দীপার মন থেকেও ধী’রে ধী’রে মুছে যাচ্ছে সে। এদিকে, ছোটবেলা থেকে এক তরফা দীপাকে ভালোবেসে এসেছে অর্জুন। দীপার জীবনের সব ঝ’ড়ে তার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সে।
কথায় আছে সত্যিকারের ভালোবাসা কোনোদিন বৃথা যায় না। ঠিক তেমনই এতদিন পর অর্জুনের ভালোবাসার মূল্য দিল দীপা। অর্জুন আর না ফিরিয়ে, লোক দেখানো মি’থ্যে বিয়ে সত্যি করবে সে। তাদের বিয়ের তোড়জোড় চলছে এখন চক্রবর্তী আর সেনগুপ্ত বাড়িতে। যাকে বলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। তারই মাঝে দীপা আর অর্জুনের জীবনে নয়া ঝ’ড়। আগ বাড়িয়ে ইনস্টিটিউশনের দায়িত্ব নিতে চায় পৃথা। বলে, বিয়ের পর অর্জুন আর দীপার উচিত একে অপরকে সময় দেওয়া। বিয়ের এত ব্য’স্ততা। তারা বিয়ের পর ঘুরতেও যাবে। এত কাজ সোমুদার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। তাই এই কাজের দায়িত্ব নিতে চান পৃথা।
তবে পৃথাদেবী সুবিধার মহিলা নন জানে দীপা। মানুষ চিনতে আর ভুল করে না সে। তাই অর্জুন পৃথাকে দায়িত্ব দিতে চাইলেও, দীপান্বিতার অফিশিয়াল কাজে পৃথাকে ঢুকতে দিতে চায় না দীপা। এসব নিয়ে যখন জোড় জল’ঘোলা চলছে তখন সেখানে উপস্থিত হয় লাবণ্য সেনগুপ্ত। বিয়ের আগে মেয়েকে নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে চান তিনি। লাবণ্যর কথা শুনে খানিক অস্ব’স্তিতে পড়ে দীপা। সে বুঝতে পারে না সকলের অনাদরে সেনগুপ্ত বাড়িতে যাওয়া আদৌও ঠিক হবে কিনা।
তবে লাবণ্য দেবী বলে, দুই মেয়েকে নিয়ে বিয়ের আগে পর্যন্ত দীপা থাকবে ওই বাড়ি। দীপা দুই মেয়েকে আনতে গেলে লাবণ্য অর্জুনকে বলে, সোনা-রূপা তাদের মায়ের সঙ্গে থাকতে পারে। সন্তানদের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান মা। অর্জুনও সন্তান স্নেহে সোনা-রূপাকে আগলে রাখবে। কিন্তু তাদের ‘সেনগুপ্ত’ পদবি যেন বদল না করে দেওয়া হয়। হাজার হোক সূর্যের রক্ত বইছে দুই মেয়ের শরীরে।
আরও পড়ুন: “লোকে আমাকে আজকাল ধ্যা’ষ্টা জেঠু বলে ডাকে!” দিদির মঞ্চে অকপট নিম ফুলের মধুর অখিলেশ দত্ত! তার অভিনয় কেমন লাগে?
অর্জুন লাবণ্য দেবীকে অভয় দিয়ে বলে সোনা-রূপার সঙ্গটাই তার কাছে সব। পদবি অন্তরায় নয়। জোড় করে সোনা-রূপাকে তার বাবা বা বাবার পরিবারের থেকে আলাদা করবে না সে। তারা এখন ছোট। আঠারো বছরের পর তারা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে তারা মায়ের থেকে আলাদা থাকবে না, লাবণ্য সেনগুপ্তকে সাফ জানায় অর্জুন।