Bangla Serial

বিপাশা হ‌ও শিমুল নয়! আত্মমর্যাদা বজায় রেখে বাড়ি ছাড়ল বিপাশা, কিন্তু পরজীবীর মতো এখনও শ্বশুরবাড়িতেই পড়ে র‌ইল শিমুল!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) এসেছে এক ধামাকা। ধারাবাহিকের কাহিনী শুরু থেকেই ছিল কিছু সাধারণ বউদের নিয়ে, যাদের শ্বশুরবাড়ির চাপে বা সংসারের কারণে ভুলে যায় তাদের জীবনকে। ভুলে যায় তাদের একটি পৃথক জগৎ থাকতে পারে। ধারাবাহিকেও তাই মেয়েদের জীবনের নানা দিককেই বারবার তুলে ধরেছে ধারাবাহিকটি। বিয়ে করে শিমুল চলে আসে তার শ্বশুরবাড়িতে আর বাকি পাঁচটা মেয়ের মতোই সে চেয়েছিল তার নিজের জীবনটাকে সাজাতে কিন্তু শুরুতেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে সে।

বাড়ির বউ মানেই তার থাকবে না কোন নিজস্ব সক আহ্লাদ বা ইচ্ছে সেটাই বারবার শিমুলকে বারবার বলে দিতেন শিমুলের শাশুড়ি, স্বামী ও দেয়র। এইসমস্ত কারণেই স্বামীর সঙ্গে নানা কারণে গোলযোগ বাঁধতে শুরু করে। তবে ভাগ্যক্রমে সে পাশে পায় তারই পাড়ার বউদের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যায় তার শাশুড়ির মনও। সকলেই মিলে ভালোবাসেন ছিলেন কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে স্বামী আর দেওরের শুরু হয় অশান্তি। ভাই পলাশের বুদ্ধিতেই স্বামী পরাগ সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তার ছাত্রীর সঙ্গে। এই সমস্ত কিছু আর সহ্য করতে পারছিল না শিমুল। সে সিদ্ধান্ত নেয় পরাগকে ডিভোর্স দেওয়া।

সে সিদ্ধান্ত নেয় পরাগের সঙ্গে সেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার। তবে সব কিছুর পরও স্বামীর ঘর ছাড়েনি শিমুল। সে থাকতে থাকে সে বাড়িতেই। সি বাড়িতে পলাশের স্ত্রী থাকলেও পুতুল এবং মধুবালা দেবীর দেখা শোনার জন্য সে ওখানেই থেকে যায়। তবে পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ আসার পর ওই বাড়ি ছাড়াও সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল। যদিও সে এখনও নানা বিপদে আপদে পরাগ এবং তার পরিবারের সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। ওদিকে বিপাশার সঙ্গেও হয়েছে সেই একই ঘটনা। সন্তান না হওয়া কারণে তাকে ঠকিয়েছে চন্দন। মধুরিমার বাড়িতে গিয়ে তার জিজ্ঞাসা করে সবটাই জেনে নেয় বিপাশা।

চন্দন যদিও অনেক চেষ্টা করে বিপাশার সঙ্গে কথা বলার কিন্তু চন্দনের কোনও কথায় শোনেনি সে। বাড়ি আসে সবটা জানিয়ে দেয় চন্দনের মাকে। সে জানিয়ে দেয় এইবাড়ি ছেড়ে চলে যাবে সে। চন্দনের মা যেন মধুরিমাকে চন্দনের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়। সে জানিয়ে দেয় এত অপমান সে সহ্য করবে না। তখন বাড়িতে চন্দন চলে আসে এবং বোঝানোর চেষ্টা করতে শুরু করে বিপাশাকে। যদিও চন্দনের কোনও কথায় শোনেনি বিপাশা। তখন চন্দনের মা বলেন বিপাশা বাড়ি থেকে যাবে না, চন্দন যাবে।

আরো পড়ুন: বাজল বিয়ের সানাই!নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন জিতু! পাত্রী কে?

সেটা শুনেই খুশি হয়েছেন ধারাবাহিকের অনুরাগীরা। তবে অনেকেই বলেছেন “বিপাশার মতোই সবাইকে হওয়া উচিত, শিমুলের মতো নয়। শিমুল এত সবকিছু হওয়ার পরেও এখনও পরে আছে সেই ব্যানার্জী বাড়িতে। এত সবকিছু হওয়ার পরও এখনও সে তৈরি আবার পরাগকে বিয়ে করতে এটা দেখে বোঝা যায় মেয়েরা কতটা ইমোশনাল আর ছেলেরা তারই সদ ব্যবহার করে। তাই মেয়েদেরও উচিত তাদের আত্ম সম্মানকে গুরুত্ব দেওয়া। মেয়েরা পরজীবী নয়, তারাও মাথা উচু করে বাঁচতে পারে সেটা দেখতে হবে বিপাশার মতোই।” তাহলে এই বিষয়ে আপনাদের কি মত? শিমুল বা বিপাশা কে বেশি সঠিক আপনাদের কাছে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।