এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া ‘জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)।’ যদিও চলতি সপ্তাহে টালমাটাল হয়েছে এই ধারাবাহিকের টিআরপি। দ্বিতীয় স্থান ছেড়ে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে এই ধারাবাহিক।
এই ধারাবাহিকটি আসলে আদতে একটি নারী শক্তির কাহিনী। এই নারী এক অদম্য, অপ্রতিরোধ্য নারী। কখনও সে হয়ে ওঠে সাধারণ নারী কখনও আবার হয়ে ওঠে অস্ত্রধারিনী। এই নারীর একই অঙ্গে রয়েছে দুই রূপ। একদিকে জগদ্ধাত্রী ও জ্যাস সান্যাল। একজন তথাকথিত শান্ত, শিষ্ট, ঘরোয়া। অন্যজন দাপুটে, দুঁদে ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে অন্যতম প্রভাবশালী নারী চরিত্রটি হল কৌশিকী মুখার্জির। যিনি মুখার্জি বাড়ির ব্যবসার মাথা। আর সেই কারণে মুখার্জি বাড়িতে তাঁর অগাধ শত্রু। তাকে তাঁর শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিতে চায় অনেকেই। আর তার মধ্যেই অন্যতম হলো উৎসব-মেহেন্দি জুটি। মেহেন্দির পরিবারও চায় কৌশিকীকে সরিয়ে মেহেন্দিকে মুখার্জি বাড়ির ব্যবসার মাথায় বসতে।
জামাইষষ্ঠীর পর উৎসব আর মেহেন্দিকে মুখার্জি বাড়িতে পৌঁছে দিতে আসে শকুন্তলা সান্যাল। বৈদেহী মুখার্জিকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন মুখার্জি ইন্ডাস্ট্রিজের মাথায় তিনি মেয়েকে দেখতে চান। শকুন্তলা সান্যাল সাফ জানিয়ে দেয়, মেহেন্দির কিন্তু টাকার কোনও অভাব নেই। ফলে ক্ষমতা না পেলে তিনি হুমকি দেন নিজের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে চলে যাবে সে। বেয়ান চলে যেতেই জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে বৈদেহি।
অন্যদিকে গৌতম খুনের কিনারা করে ফেলেছে জগদ্ধাত্রী। এরইমাঝে সে ফোন করে নিজের অফিসে ডেকে পাঠায় উৎসবকে। সে যেতে অস্বীকার করলে তাকে পুলিশের হুমকি দেয় জগদ্ধাত্রী। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী ছিল উৎসবের প্রথম প্রেমিকা। আর তাই জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে উৎসবের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করে মেহেন্দি। সে জানিয়ে দেয় জগদ্ধাত্রীর প্রতি যদি উৎসবের কোনরকম ভালোবাসা জন্মায় তাহলে সে মুখার্জি পরিবারে সাইক্লোন বইয়ে দেবে। টানটান পর্ব ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে। আবার কী হবে টিআরপি শ্রেষ্ঠ?