বাংলা টেলিভিশনের এক অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন মিশমি দাস। ২০১৪ সালে জি বাংলার ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় প্রথম অভিনয় করতে আসেন মিশমি। সেখানে তার বিপরীতে নায়ক হিসাবে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষকে। দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এই সিরিয়াল।
সম্প্রতি আবার সেই জুটিকেই দেখতে চলেছে দর্শক। আর সৌজন্যে রয়েছে জি বাংলাই। প্রসঙ্গত বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’তে দেখা যাবে তাদের দুজনকে একসঙ্গে। তবে এবার আর মুখ্য চরিত্র নয় বরং একটি নেতিবাচক চরিত্রতেই দেখতে পাবেন মিশমিকে। ধারাবাহিকের নায়ক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী অন্তরা আবার ফিরে আসছে আর এই চরিত্রেই অভিনয় করছেন মিশমি দাস।
ইতিমধ্যে ধারাবাহিকে মিশমির প্রথম ঝলক সামনে এসে গেছে একটি নতুন প্রোমোর মাধ্যমে। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে বেশ জোরদার ভাবে নিজের এন্ট্রি করতে চলেছেন মিশমি। এছাড়া ইন্দ্র এবং মিতুলের জীবনে নতুন করে ঝড় তুলতে চলেছে সে। তবে সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “জীবনের প্রথম নায়ক। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত লাগছে।”
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ শেষ হয়েছে। যেখানে মিশমিকে একটি নেগেটিভ চরিত্র রিনির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। আবার তিনি নতুন ধারাবাহিকে ফিরছেন সেই নেগেটিভ চরিত্রেই? অভিনেত্রীর খুব স্পষ্ট উত্তর, “প্রথম স্ত্রী যদি ফিরে এসে দেখেন তাঁর স্বামী আরও একটা বিয়ে করেছেন, তাতে তাঁর বিরক্ত হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি? যদিও গল্প যেমন হবে সেই ভাবেই এগোবে সিরিয়াল।”
প্রসঙ্গত, একসময় এই ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় দিয়ে। কিন্তু এখন শুধু তাকে দেখা যায় নয় ‘খলনায়িকা’র চরিত্রে অথবা ‘সেকেন্ড লিড’ চরিত্রে। এই প্রসঙ্গেও অভিনেত্রী বলেন, “তখন কোনও সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলে প্রায় ২২-২৩ ঘণ্টা কাজ করতে হত। আমি সেটা পারছিলাম না, তাই সিদ্ধান্ত নিই মুখ্য চরিত্রে কাজ না করার। কিন্তু তার পরই এখন সব নিয়ম বদলে গিয়েছে। আমার একটাই আফসোস যে, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে টাইপকাস্ট করে দিচ্ছে! আমায় দেখলেই আজকাল শুধুই নেতিবাচক চরিত্রের কথা মনে হয় পরিচালকদের।”