জি বাংলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখা গেছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিক শুরু হতে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘নিম ফুলের মধু’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেছে অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা এবং অভিনেতা রুবেল দাসকে। শুরুর প্রথম থেকেই নানা রকম কারণে বেশ চর্চায় রয়েছে এই ধারাবাহিক।
প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকের গল্প অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। শুরুতেই দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকের নায়ক সৃজন হল একটি যৌথ এবং পুরনো ধ্যান ধারণার পরিবারের ছেলে এবং নায়িকা পর্ণা হল আধুনিক পরিবারের মেয়ে। তাদের দুজনের বিয়ে বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সৃজনের মা পর্ণাকে সেভাবে মেনে নিতে পারে না।
তার মনে হতে থাকে যে আধুনিক চিন্তাধারার বউ এসে তার ছেলেকে তার থেকে কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু উল্টো দিকে পর্ণা সব সময় চেষ্টা করে যায়, যাতে সে তার শাশুড়ি মায়ের মন জিততে পারে। কিন্তু শেষে গিয়ে কৃষ্ণা তাকে দু তিনটে কথা শুনিয়ে দেয়। কৃষ্ণার চরিত্রটিকে নিয়ে দর্শকদের প্রথম থেকেই বেশ ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে।
কিন্তু এবার ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রমো সামনে আনা হয়েছে যা দেখে পর্ণার চরিত্রটির ভাবনাচিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে দর্শক। প্রসঙ্গত এই প্রমোতে দেখা গেছে পর্ণা এবং সৃজনের সন্তানের মঙ্গল কামনায় বাড়িতে একটি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে পুরোহিত মশাই সৃজনের হাতে একটি সোনার আংটি দিয়ে বলছেন যে পর্ণার শাড়ির কুচি বরাবর এই আংটিটাকে ফেললে যদি আংটিটা পর্ণার ডান পায়ে পড়ে তাহলে ছেলে হবে আর যদি বাঁ পায়ে পড়ে তাহলে মেয়ে হবে।
কিন্তু পর্ণা সেই আংটিটাকে পায়ে পড়তে দেয় না তার আগেই ধরে নেয়। তখন তাকে তার শাশুড়ি মা বলে যে তুমি আংটিটা পড়তে দিলে না কেন? তখন পর্ণার উত্তর ছিল যে এই ব্রততো সন্তানের মঙ্গল কামনায় তাহলে এটা জানার কি খুব দরকার রয়েছে যে ছেলে হবে না মেয়ে!
View this post on Instagram
আর পর্ণার মুখে এই বক্তব্য শুনে রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেছে দর্শক। তাদের মতে আমরা এখন যে সময় বাস করি সেই সময় ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই সমান। তাই সন্তান আসার আগে ছেলে হবে না মেয়ে এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার কোন মানে হয় না। আর সেই শিক্ষাই সকলের সামনে তুলে ধরেছে ‘নিম ফুলের মধু’।