অত্যন্ত ছোট বয়স থেকে জমাটি অভিনয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সাহা। বাংলা টেলিভিশনে একের পর এক ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। বলা যায় কার্যত শিশুশিল্পী থেকে এখন নায়িকা চরিত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
‘জয় কালী কলকাত্তাওয়া’, ‘ঝুমুর’, ‘আমার দূর্গা’, ‘জানি দেখা হবে’, ‘রাইকিশোরী’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘দেবীপক্ষ’, ‘খনার বচন’, ‘চুনি পান্না’র মতো একাধিক জনপ্রিয়সব ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন এই মিষ্টি চেহারার অভিনেত্রী। তবে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা বা সাফল্য তিনি পেয়েছেন ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সাহা অভিনীত ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকটি জি বাংলা তথা বাংলার সেরা ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। এই ধারাবাহিকে ‘নিপা’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। যদিও এই ধারাবাহিকের পথচলা শেষ হয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকের সমস্ত অভিনেতা- অভিনেত্রীরা ফিরছেন অন্যান্য কাজে। আর সেই ধারাবাহিকতাতে নতুন কাজে ফিরলেন ঐন্দ্রিলাও।
কালার্স বাংলার জনপ্রিয় তুমি যে আমার মা ধারাবাহিকে আরুর বড়বেলার চরিত্রে ফিরেছেন তিনি।যথারীতি তাঁকে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি দর্শকরা। দীর্ঘদিন পর নিপার চরিত্রের খোলস ছেড়ে অন্য একটি চরিত্রে আবারও দেখা যেতে চলেছে ঐন্দ্রিলা সাহাকে। যদিও অভিনেত্রীর কথায় নিপার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এই চরিত্রটি এবং যার জন্য তিনি বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন। যদিও এই ধারাবাহিকের সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরাই তাঁকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে আপন করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ব্যক্তিজীবনে নিপার মতো যেমন তিনি আদুরে আবার অন্যদিকে আরুর মতো দায়িত্ববানও তিনি।অভিনেত্রীর কথায়, এখন তাঁর শাসনে রীতিমতো অতিষ্ঠ তার পরিবার। একইসঙ্গে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাঁকে। কারণ বয়স বাড়ছে তার বাবা-মা-দিদার। আর সেই জন্যই তাঁদেরকে শাসনে রাখেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে অতিষ্ঠ হয়ে থাকে তাঁর পরিবার।
একইসঙ্গে নিজের বোনকেও কড়া শাসনে রাখেন তিনি বলে জানিয়েছেন। মারধর, বকা দেননা রীতিমতো বোনকে অপমান করেন তিনি। আসলে তিনি চান তার বোন যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। আর বোনের ভালোর সমস্ত টুকু দায়িত্ব তাঁর। এই বিষয়ে মাথা ঘামান না তাঁর বাবা-মাও। অকপট ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, তিনি, বাইরের সব রকমের কাজ করে ফেলতে পারেন, কিন্তু বাড়িতে এক গ্লাস জলও তিনি নিজে নিয়ে খেতে পারেন না।