Bangla Serial

“টিফিনে হবিষ্যি খেয়ে দিন কাটিয়েছি…” পর্দার পর্ণা ওরফে পল্লবী শর্মার জীবনের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনার‌ও

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Modhu)। টিআরপি (trp) তালিকার প্রথম পাঁচে জায়গা বাঁধাধরা। কোনোও কোনোও সপ্তাহে পর্ণা আর সৃজনের রোমান্স হার মানায় বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’-র (Jagaddhatri) জ্যাস ম্যাজিককে। ধারাবাহিকের নায়িকা পর্ণা। পেশায় সাংবাদিক। কাজ, পরিবার, স্বামী সবকিছু সিদ্ধ হস্তে সামলে চলেছে সে। পর্ণার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা।

এর আগে পল্লবীকে একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করতে দেখা গিয়েছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় জগতে আসা। আর তারপর পথ চলা। ধারাবাহিক প্রেমীরা পর্ণাকে চেনে ‘জবা’ নামে। ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করতেন সেই নামেই। তবে অভিনেত্রীর প্রথম জীবনের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও।

ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন মাকে হারান। ব্রেন টিউমার হয়েছিল তার মায়ের। অভিনেত্রীর মায়ের চিকিৎসার জন্য বাড়ির সবার ছোটাছুটি চলে মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই। ছোট্ট পল্লবী থাকতো পাশের বাড়ির এক মহিলার কাছে। তিনি বরাবরই ছিলেন মা অন্তঃপ্রাণ। মাকে ছাড়া রাতে দুচোখের পাতা এক হত না তাঁর। ক্রমে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শেখেন পল্লবী শর্মা।

আরো পড়ুন: ‘চেটে পরিষ্কার কর’! অভিনেতা বিশ্বনাথের বসুর পুত্রকে ঘৃণ্য হুকুম প্রতিবেশীর, পুলিশে নালিশ

মাকে হারানোর কয়েক বছরের মধ্যেই বাবা অসুস্থ হন। অভিনেত্রী তখন দশম শ্রেণীর আইসিএসসি পরীক্ষা দেবেন। পরীক্ষার সকালে খবর পান মারা গিয়েছেন তাঁর বাবা। সবাই তাঁকে বারণ করেছিল
সেইদিন পরীক্ষার হলে না যেতে। তবে হার মানার পাত্রী ছিলেন না পল্লবী। মানসিক যন্ত্রণার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেন দুরন্ত আলোকপর্ণা। পল্লবী জানান, বন্ধুদের বাবা-মায়েরা তাঁদের জন্য টিফিন নিয়ে যেতেন। সেই জায়গায় পল্লবী টিফিনে হবিষ্যি খেয়ে দিন কাটিয়েছেন!

বাবা-মা না থাকা পল্লবীকে এরপর বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সবাই। কিন্তু লড়াকু মেয়েটি সেই পথে পা বাড়াননি। সিরিয়ালে কাজ করা শুরু করেন তিনি। ধারাবাহিকে অভিনয় করেই হয়ে ওঠেন জবা থেকে পর্ণা। কলকাতায় নিজের কেনা বাড়িতে একা থাকেন পল্লবী। সমস্ত চ্যালেঞ্জ সামলে নিজের ছন্দে বাঁচার পথ খুঁজেছেন তিনি।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।