Bangla Serial

“ভালোবাসা এমন একটা শব্দ যা হারিয়ে গেলে যার যায় একমাত্র সেই বোঝে…।” অর্ণবের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই! কঠিন প্রতিজ্ঞা অভিনেত্রী পৌষ্মিতার

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা (Mithijhora)’। এই ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প অবলম্বনে। পরিবারের বড় মেয়ের রাইয়ের বিয়ের দিন বাড়ির কর্তার মৃত্যুতে গোটা পরিবার ওলটপালট হয়ে যায়। রাইয়ের বদলে বিয়ের পিঁড়িতে বসে মেজ বন নীলু। অন্য দিকে গোটা পরিবারের ভার কাঁধে নিয়ে একা লড়ার প্রয়াস খোঁজে বড় মেয়ে রাইপূর্ণা।

বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে রাইপূর্ণা ও নীলুর জীবনের ঘাত প্রতিঘাত দেখানো হচ্ছে। নতুন করে বাঁচতে শিখছে মিঠিঝোরা ধারাবাহিকের প্রত্যেক সদস্য। এই ধারাবাহিকে নায়িকা রাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী পৌষ্মিতা গোস্বামী। টেলিপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ পৌষ্মিতা। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী। জীবনীশক্তি সঞ্চয় করে কাজে ফিরেছেন লড়াকু অভিনেত্রী।

দুবছর আগে বিনোদন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ অর্ণব রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পৌষ্মিতা। তিনি এক প্রযোজনা সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন। গত ১১ জানুয়ারি রাতে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাত্র চল্লিশ বছরের কোঠায় দাঁড়িয়ে সেদিনই নিভে যায় তাঁর জীবন প্রদীপ। স্বামীর মৃত্যুতে ভিতর থেকে ভেঙে পড়লেও বাইরে নিজেকে শক্ত রাখেন স্ত্রী পৌষ্মিতা। তিনি বলেন- “ভালোবাসা এমন একটা শব্দ যা হারিয়ে খেলে যার যায় একমাত্র সেই বোঝে…।”

স্বামীর মৃত্যুর দুই দিনের মধ্যেই কাজে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। এখন মিঠিঝোরার সেটই তাঁর একান্ত ভালোবাসার জায়গা। চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক কম বয়সে মা হয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন, মেয়েদের জন্মের পর বড় হয়ে ওঠার মধ্যে দিয়েই তাঁদের মধ্যে একটা সহজাত মাতৃত্ব গড়ে ওঠে। তা আলাদা করে শিখিয়ে দিতে হয়না। তাই রাইপূর্ণার মায়ের চরিত্রে তিনি বেশ খুশি। পাশাপাশি, ধারাবাহিকের গল্প নিয়েও তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।

অত্যন্ত শক্ত মনের মানুষ পৌষ্মিতা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “জানি তো আমাদের দেখা হবেই। আর সেই কারণে মনের জোর রাখতে পেরেছি।” অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর স্বামী চাইতেন সবসময় কাজ নিয়ে থাকতে। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে একটি প্রোযোজনা সংস্থাও গড়ে ওঠে। আগামী দিনে সেই সংস্থার কাজ স্বামীর হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন পৌষ্মিতা। আর এভাবেই কাজের মধ্যে নতুন করে ভালো থাকার প্রয়াস খুঁজছেন তিনি।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।