জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) আসছে চোখ ধাঁধানো পর্ব। শিমুল বর্তমানে জেল বন্ধ। তাঁর বিরুদ্ধে কেস করেছে পরাগ। ছেলেদের এবং প্রতীক্ষার কথায় মধুবালা দেবীও এখন শিমুলের বিরুদ্ধে। ছেলেদের টাকা দিয়েছেন ভালো উকিল ঠিক করার জন্য। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে পুতুল। প্রতীক্ষার ধাক্কা মারায় টেবিল আঘাত পায় সে। ব্যাথায় জ্বর চলে আসে তার। মধুবালা দেবী পলাশকে ডাক্তার ডাকতে অনুরোধ করতেও ছেলে শোনেনি তার কথা।
এদিকে বিচার শুরু হয়ে গেছে শিমুলের। শিমুলকে কাঠগড়ায় ডেকে আরাধনা চ্যাটার্জী আর অনির্বাণ সেনের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। শিমুলের জীবনের সমস্ত বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনির্বাণ। ওদিকে পলাশ, পরাগ ও প্রতীক্ষার বিষয়ে মন্তব্য করছেন আরাধনা। এদিকে কোর্টে আসে উপস্থিত হয়েছেন শতদ্রু। তাকে দেখেই পরাগ তার মায়ের কানে কানে বলতে থাকে দেখ মা এই ছেলে এখানেও আসে হাজির আমি বলেছিলাম না এই ছেলের সাথে ওর সম্পর্ক আছে।
এই কথা শুনে খানিকটা বিরক্ত হন মধুবালা দেবী। বলেন এই সব শুনতে তার ভালো লাগছে না। তার চিন্তা এখন পুতুল। তাকে অসুস্থ অবস্থায় তুতুলদের বাড়ি রেখে এসেছেন তিনি। মেয়ের পরিস্হিতি দেখে আতঙ্কিত মধুবালা দেবী। যদি মেয়ের কিছু হয়ে যায় তখনই তাকে আশ্বাস হয়ে পরাগ বলে তোমায় এখনই ডাকা হবে তোমার হয়ে গেলেই তুমি চলে যেও। জর্জ স্যারের সামনে সব সত্যি কথা বল। যা হয়েছে, যা তোমার মনে হচ্ছে বল। তারপর জর্জসাহেব আরাধনা আর অনির্বাণকে থামিয়ে দেন, বলেন এখন যে বিষয়ে কেস চলছে তাতে মন দিতে।
আরাধনাকে বসতে বলেন তিনি এবং অনির্বাণকে কোর্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। অনির্বাণ প্রথমেই ডাকে মধুবালা দেবীকে। কাঠগড়ায় আসে হাজির হন মধুবালা দেবী। তাকে অনির্বাণ জিজ্ঞাসা করেন কে হন তিনি শিমুলের। তিনি জানান শিমুল তার বৌমা। তখন অনির্বাণ তার ভুল সংশোধন করে বলেন বলুন প্রাক্তন বৌমা। তখন মধুবালা দেবী বলেন হ্যাঁ আসলে এত দিনের অভ্যাস তো এই বলেই ডাকি আমি ওকে।
তখন অনির্বাণ জিজ্ঞাসা করেন শিমুলের সাথে তার সম্পর্ক কেমন ছিল? তিনি জানান প্রথমে ভালো।না থাকলেও পরে তার সাথে শিমুলের সম্পর্কে খুব ভালো, বন্ধুর মতো হয়ে গেছিলো। তারপর মধুবালা দেবীকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি মনে করেন শিমুল পরাগকে বিষ নিয়েছে। তিনি বলেন তিনি জানেন না। তিনি তার বৌমাকে খুব ভালো বাসতেন। যখন তার ছেলে শিমুলকে ডিভোর্স দেবার কথা বলে তিনি রাজি হননি। তারপর বিয়ের দিন এই কান্ড।
তিনি এও জানান যে সেই দিন বাড়িতে তার মেয়ে ছিল যে কিছু বোঝেনা, প্রতীক্ষা আর পলাশের এই বিয়েতে মত ছিল তাই তারা এই কাজ করতে পারবেন না বাকি তো শুধু শিমুলই রইলো। তখন তাকে আরাধনা জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি দেখেছেন শিমুলকে বিষ দিতে, তিনি না তে উত্তর দেন। তারপর শিমুলের মুখটা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাই মনে পড়ে পুতুলের কথা। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের শিমুলের নির্দোষ হবার কথা কি জানতে পারবেন তিনি? ধরা পড়বে কি আসল দোষী?