Bangla Serial

Adrit-Uday: ভাই বলে ডাকে অথচ সেই রাতুলের বিয়েতেই নেই উচ্ছে বাবু, বদলে হাজির তারই প্রাক্তন প্রেমিকা! গার্লফ্রেন্ড আসবে জেনেই কি উদয়-অনামিকার বিয়েতে গেল না আদৃত?

২৮শে জুন নিজেদের জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন সদ্য বাংলার জনপ্রিয় দম্পতি অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী ও অভিনেতা উদয় প্রতাপ সিং। ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকের হিয়া আর মিঠাইয়ের রাতুল দীর্ঘ প্রেমের পর অবশেষে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত আড়াই বছর ধরে অভিনেতা উদয় প্রতাপের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন অনামিকা। আর এই প্রেমের সম্পর্ক‌ই পরিণতি পেয়েছে। মিঠাইয়ের যাত্রা শেষ হতেই গাঁটছড়া বেঁধে নিলেন উদয়-অনামিকা।‌‌ বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের এই যাত্রাপথের সময়টা ছিল আড়াই বছরের। আর এই আড়াই বছরের সফল প্রেম জীবন পরিণতি পেল।

একেবারে বলিউডি কায়দায় বিয়ে করেন উদয়-অনামিকা। বিশাল ঘটা করে নয় বরং ছিমছাম ভাবে বিয়ে সারলেন তাঁরা। ২৮ জুন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে নিজেদের জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন বাংলার জনপ্রিয় এই দম্পতি।

নিজেদের বিয়ের ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। আর এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘টু নিউ বিগিনিংস! চিয়ার্স টু আস! উই মেড ইট।’ আর বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম আমরা। এতটা পথ সফলভাবে অতিক্রম করতে পেরেছি। চিয়ার্স!’

অভিনেত্রীও নিজেদের বিয়ে এবং অভ্যাগতদের ছবি পোস্ট করেন। আর সেখানেই নজর কাড়ে কিছু ছবি। যে ছবি গুলিতে দেখা গেছে উদয়-অনামিকার বিয়েতে উপস্থিত রয়েছেন অভিনেতা আদৃত রায়ের প্রাক্তন সুপ্রিয়া মন্ডল। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১০ বছরের দীর্ঘ প্রেম ভাঙে আদৃত রায়ের। অভিনেতার ছোট বেলার প্রেমিকা সুপ্রিয়া মন্ডল হঠাৎই আদৃতকে ছেড়ে আংটি বদলে নেন অন্য একজনের সঙ্গে।

সুপ্রিয়ার জীবনের সেই বিশেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন অনামিকাও। উল্লেখ্য, সুপ্রিয়া-অনামিকার বন্ধুত্ব‌ও অনেকদিনের পুরনো। এর আগে আদৃত, সুপ্রিয়া, উদয়, অনামিকাকে অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে। আর তাই আদৃতের সঙ্গে প্রেম ভাঙলেও আগের মতোই অটুট রয়েছে অনামিকা ও সুপ্রিয়ার বন্ধুত্ব। মিঠাই ধারাবাহিকে অভিনয়ের কারণে আদৃত আর উদয়ের‌ও দারুণ গভীর বন্ধুত্ব। যদিও উদয়ের বিয়েতে দেখা মেলেনি আদৃতের। বর্তমানে অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।