এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity)। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’-তে রাইপূর্ণা ওরফে রাইয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাকে। জি বাংলার এই মেগা সিরিয়ালে বাড়ির দায়িত্ববান বড় মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন আরাত্রিকা। বাস্তব জীবনে মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী, শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলেও পড়াশোনায় ভীষণ মনোযোগী।
সম্প্রতি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন আরাত্রিকা। নাটক নিয়ে স্নাতক পড়ার ইচ্ছা তার। ১২-১৪ ঘণ্টা শুটিংয়ের ফাঁকে কীভাবে পড়াশোনা করছেন তিনি? এ বিষয়ে আরাত্রিকা (Aratrika Maity) জানিয়েছেন, “রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা কোর্সের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর ইচ্ছা নাটক নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার।”
শুটিংয়ের মাঝে পড়াশোনা নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না জানতে চাইলে, হাসিমুখে উত্তর দেন, “সব ম্যানেজ হয়ে যাবে। উচ্চমাধ্যমিকও শুটিং সামলেই দিয়েছিলাম। আমি আত্মবিশ্বাসী। প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালোই দিয়েছি, আশাবাদী যে আমি রবীন্দ্র ভারতীতে পড়ার সুযোগ পাব। শুটিংয়ের ফাঁকেই সময় পেলে পড়াশোনা করেছি।”
নিয়মিত কলেজ ক্লাস করতে না পারলেও আফসোস নেই তার। অভিনয় কেরিয়ারেই এখন তার মূল মনোযোগ। তিনি (Aratrika Maity) বলেন, “নিয়মিত ক্লাস করতে পারব না, তবে ছুটি পেলে নিশ্চয়ই যাব। মিঠিঝোরা টিম আমাকে যথেষ্ট ছুটি দেয়। তাই শুটিং সামলে ক্লাস করব। ছুটি পেলেই প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে কলেজ”। ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর যোগমায়া দেবী কলেজে সাইকোলজিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এবার ড্রামা নিয়ে নতুন কোর্সে ভর্তির ইচ্ছে।
শ্যুটিং ফ্লোরে বই সবসময় সঙ্গে রাখেন আরাত্রিকা (Aratrika Maity)। ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী। ক্লাস ফাইভ থেকেই টলিগঞ্জে অডিশন দিতে শুরু করেন। মাধ্যমিকের আগে প্রথম সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পান। ‘অগ্নিশিখা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তার অভিনয়ে হাতেখড়ি, এরপর বড় সুযোগ পান ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালে। যদিও প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন রানি রাসমণি সিরিয়ালে, যেখানে তিনদিন এক্সট্রা হিসেবে ছিলেন, কোনও সংলাপ বলতে হয়নি। ‘খেলনা বাড়ি’তে মিতুল চরিত্রে অভিনয় করে লক্ষ লক্ষ দর্শকের ভালোবাসা অর্জন করেছেন আরাত্রিকা। সেই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর একই চ্যানেলে একই স্লটে শুরু হয় ‘মিঠিঝোরা’, ফলে কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত তিনি। আরাত্রিকার এই স্বপ্নপূরণের যাত্রায় রইল অনেক শুভেচ্ছা।