কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon gopone mon bheseche new episode) ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা পর্ব। অনিকেতের থেকে টাকা হাতাতে প্ল্যান করেছিল অহনা, অরুণাভ। এদিকে গুন্ডাদের দলকে ট্র্যাক করার বুদ্ধি দেয় মন্দার। ট্র্যাক করতে করতে গুন্ডাদের পিছু পিছু যায় তারা। অরুণাভ শ্যামলী অনিকেতকে দেখে অবাক হয়ে যায়, গুলি চলতে থাকে তবে শ্যামলী ভাবতে থাকে স্যারের কষ্টের রোজগার আমি কিছুতেই গুন্ডাদের হাতে তুলে দেব না। অরুণাভ নিজেকে বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বাড়ি ফিরে অহনাকে অরুণাভ জানায় টাকার ব্যাগ সেখানে রয়ে গেছে। শ্যামলী জোর করছিল তার মুখ দেখার জন্য, তাই শ্যামলী ওপর গুলি চালিয়ে দিয়েছে। অরুণাভর এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় তৃষা। শ্যামলীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় মন্দার রোহিনী অনিকেত। অনিকেত বারবার ভাবতে থাকে কেন টাকার জন্য এমনটা করলেন শ্যামলী।
ধারাবাহিকের (Kon gopone mon bheseche) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তার বাবু শেষ জবাব দিয়ে দিয়েছে, অনিকেতের মন মেজাজ মোটেই ভালো নেই। অনিকেত বারবার বলতে থাকে আমার শ্যামলী এইভাবে চলে যেতে পারে না। শ্যামলীকে আমি হারাতে পারবো না। ঠাকুরের সামনে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে অনিকেত। অনিকেত বলে আমি শ্যামলীকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। অনিকেত জানতে পারে এক ব্যক্তি বাবা বৈদ্যনাথের কাছে পুজো দিয়ে নিজের মেয়েকে ফিরিয়ে এনেছেন মৃত্যু শয্যা থেকে। অনিকেতকেও তাই বাবার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতালে থাকা ওই ব্যক্তি।
বাড়ি থেকে ফোন এলে অনিকেত জানায় যে ডাক্তারবাবু শেষ জবাব দিয়ে দিয়েছে, শ্যামলীর অবস্থা ভালো নয়। তাই অনিকেত মন্দিরে যাচ্ছে শ্যামলীকে বাঁচাতে একথাও বলে। অহনা ভাবে শ্যামলীর জন্য একেবারে মন্দিরে চলে গেল অনিকেত! অনিকেত ভাবতে থাকে সকলকে নিয়ে চলতে চেয়েছিল শ্যামলী, এটাই কি তার দোষ। ভগবানের কাছে হাতজোড় করে বারবার একই প্রার্থনা করছে অনিকেত। বাবার মন্দিরে গিয়ে নিজের মাথা ঠুকে অনিকেত বলছিল শ্যামলীকে বাঁচিয়ে দিতে।
ঠাকুর মশাই অনিকেতকে বলে সামনে একটি পুস্করিনী থেকে যদি খালি পায়ে একশো ঘড়া জল নিয়ে এসে এসে যদি মহাদেবের মাথায় ঢালতে পারো তবে বাবা নিশ্চয়ই তোমার মনস্কামনা পূর্ণ করবে। ঠাকুর মশাই বলে মেয়েরা তার স্বামীর জন্য এমন অনেক করেছে নিজেদের স্বামীকে ফিরে পেয়েছে। এই প্রথম কোন স্বামী তার স্ত্রীয়ের জন্য করবে, তুমি ভেবে দেখো তুমি পারবে কিনা। এমনকি বলে দেয় এটি সম্পূর্ণ না হলে মহাদেব ভীষণ রেগে যাবেন।
আরো পড়ুন: বিউটি পার্লারে রাত কাটানো থেকে শহরের বহুতলে নিজের উপার্জনে স্বপ্নের ফ্ল্যাট! অনুপ্রেরণার অপর নাম সুমন দে
এদিকে অনিকেত ঘড়া ঘড়া জল ঢালতে শুরু করেছে বাবার মাথায়। ঠাম্মি এসে অনিকেতকে বলতে থাকে যে তোমাকে এই ঘড়া ঘড়া জল ঢালতেই হবে শ্যামলীকে বাঁচাতেই হবে। অরুণাভও মনে মনে ভাবে যদি বাবা সন্তুষ্ট হয়ে অনিকেতকে তার মনস্কামনা পূর্ণ করে দেয়, তাহলে আমি একেবারে শেষ হয়ে যাবো। অপরাজিতা অনিকেতের কঠিন তপস্যা দেখে বুঝতে পারে, অনিকেত শ্যামলীকে ভালোবেসে ফেলেছে। এদিকে শ্যামলীর অবস্থা খারাপ হতে থাকছে। একসময় সব মেশিন বন্ধ হয়ে যায়, ডাক্তারবাবুরা ভাবে যে তবে পেশেন্ট মারা গেছেন। তবে কী অনিকেতকে ছেড়ে সারা জীবনের মতো চলে গেল শ্যামলী ! কি হতে চলেছে আগামী পর্বে জানতে হলে দেখতে হবে কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকটি (Kon gopone mon bheseche)।