জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

চিতা থেকে! শেষমেশ শ্মশান থেকে আনা মালা দিয়ে মালাবদল “তুই আমার হিরো”র সিন দেখে সমালোচনার ঝড়!

জি বাংলার সদ্য শুরু হয়েছে “তুই আমার হিরো” (Tui Amar Hero)। রুবেল (Rubel Das) আবারও নায়কের ভূমিকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন কিন্তু মোহনাও (Mohona Maiti) কম যায়নি! জি বাংলা (Zee Bangla) এবার এমন এক প্রোমো নিয়ে হাজির হয়েছে, যা দেখে দর্শকরা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়েছেন, শুরু হয়েছে সমালোচনা! প্রেম, প্রতিশোধ, পারিবারিক টানাপোড়েন—এসব ছাড়িয়ে এবার গল্প গিয়েছে একেবারে শ্মশানযাত্রার দিকে!

কারণ, নায়ক শাক্যজিতের (রুবেল দাস) জন্য মালার বন্দোবস্ত করতে না পেরে নায়িকা আরশি (মোহনা মাইতি) সোজা শ্মশানে দৌড়েছে। এতদিন বাংলা সিরিয়ালে অনেক কিছুই দেখা গেছে, কিন্তু মরার মালা নিয়ে নায়ক-নায়িকার রোমান্স? এ একেবারেই নতুন কাণ্ড!প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, শাক্যজিতের শ্যুটিং চলছে এবং বিয়ের দৃশ্যের জন্য মালা দরকার। কিন্তু সেটের সবাই খুঁজে হাপিয়ে গেলেও মালার দেখা নেই! পরিচালক, ইউনিট মেম্বাররা রীতিমতো হতাশ—বিয়ের সিন কি মালা ছাড়াই হবে?

কিন্তু আরশি তো আর হাল ছাড়ার মেয়ে নয়! তাই সে এক মুহূর্তও না ভেবে সোজা দৌড় লাগায় শ্মশানের দিকে, যেন এটা রোজকার ব্যাপার! শ্মশানে গিয়ে সে মালা জোগাড় করেও ফেলে এবং সেটে ফিরে আসে একেবারে বিজয়ীর হাসি নিয়ে। কিন্তু উত্তেজনায় ভারসাম্য হারিয়ে সোজা শাক্যজিতের ঘাড়ে পড়ে যায়! এই প্রোমো দেখেই দর্শকরা চায়ের কাপ হাতে শুরু করে দিয়েছেন ট্রোলের বন্যা!

কেউ লিখেছেন, “শেষমেশ চিতা থেকে মালা আনতে বাকি ছিল, সেটাও হয়ে গেল!” আরেকজনের কৌতূহলী প্রশ্ন, “মারা যাওয়ার পরও যদি মানুষ শান্তি না পায়, তা হলে আর কী বলার আছে?” কেউ লিখেছেন, “এখন শুধু দরকার, নায়িকার জন্য শ্মশান থেকে সিঁদুর আনার সিন!” অন্যদিকে, একজন ঠাট্টা করে বলেছেন, “পরের এপিসোডে নায়িকা শ্মশান থেকে বরই জোগাড় করবে না তো?” তবে এই ধরনের অবাস্তব প্লট যে প্রথমবার ঘটেছে, তা নয়!

কেউ কেউ স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, উত্তমকুমারের একটা শ্যুটিংয়েও এমন কাণ্ড হয়েছিল বলেছিলেন তিনি এক সাক্ষাৎকারে, যেখানে শ্মশান থেকে মালা এনে সিন করা হয়েছিল। কিন্তু সেকালের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে এই অতিনাটকীয়তার তুলনা করতে রাজি নন অধিকাংশ দর্শক!কেউ একথা শুনে বলছেন, “ওই সাক্ষাৎকার দেখেই পরিচালক টুকে দিল না তো?”বরং অনেকে মজা করে বলছেন, “এখন থেকে সিরিয়ালের নায়িকার নতুন নাম হওয়া উচিত ‘শ্মশানপ্রিয়া’!”

সব মিলিয়ে তুই আমার হিরো একের পর এক অদ্ভুত প্রোমো দিয়ে দর্শকদের হাসির খোরাক জোগাচ্ছে। যদিও গল্পের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তবুও নির্মাতারা বোধহয় ভাবছেন, “ট্রোলিং হোক বা আলোচনা—পাবলিসিটি তো হচ্ছে!” এখন দেখার, এই ধরনের কাণ্ড আর কতদিন চলবে, আর দর্শকরা আর কতটা হাসতে হাসতে পেট ব্যথা নিয়ে বিছানায় পড়ে যাবেন! প্রশ একটাই, ভবিষ্যতে আর কি কি দেখবে বাংলা সিরিয়াল?

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page