জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ঠাম্মির ঘরে ঢুকে শ্যামলীর কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক অনিকেত! এবার কি করবে সে?

জি বাংলার (Zee Bangla) নতুন ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Veseche) ধারাবাহিকের চমক এবং একের পর এক ধামাকার কারণে টিআরপি তালিকায় চলে এসেছে সেরা পাঁচের মধ্যে। গীতা LLBর সঙ্গে সমান টক্কর দিয়ে তারা এখন রয়েছে চার নম্বর স্থানে। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে নতুন চমক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিস্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে অনিকেতের তার তারপর থেকেই তিস্তার সঙ্গে চ্যাট করে সময় কাটাচ্ছে অনিকেত। তবে শ্যামলীই যে তিস্তা সে কথা এখনও জানে না অনিকেত।

তিস্তার বুদ্ধিতেই মায়ের জন্মদিন করে অনিকেত হাসি ফোঁটায় মায়ের মুখে। সকলেই খুব খুশি তার এই প্রচেষ্টায়। সম্পূর্ন অনুষ্ঠান শেষ হলে অনিকেত তিস্তাকে ধন্যবাদ দেয় এবং তাকে ফোন নম্বর দিয়ে বলে তাকে ফোন করতে। শ্যামলীও তার নম্বর থেকেই ফোন করে বসে অনিকেতকে। ফোন ধরেই অনিকেত দেখে শ্যামলী ফোন করেছে তখন তাকে কি দরকার জিজ্ঞাসা করায় শ্যামলী বুঝতে পারে অনিকেতের কাছে তার এই নম্বর আসে। এবার কি করবে বুঝতে না পেরে সে চলে যায় প্রিয়ার ঘরে।

এদিকে অনিকেত দেখে তার ফোন ৩% চার্জ রয়েছে তাই সে চার্জার আনতে চলে যায় নিচে সেখানেই সে দেখে শ্যামলীকে আসতে তখন সে শ্যামলীকে জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় যাচ্ছে তখন শ্যামলী বলে পিয়ার কাছে মাখন কোথায় পাওয়া যায় জানতে যাচ্ছে। কথাটা শুনে অনিকেত একটু অবাক হলেও বেশি গুরুত্ব দেয়না। তখন তাকে তার বাবা বলে যেখানে থেকে সে মায়ের ওষুধ কেনে সেখান থেকেই ঠাম্মির ওষুধ আনতে তখন অনিকেত ঠিক আছে বলে চলে যায়। ওদিকে শ্যামলী প্রিয়ার ঘরে গিয়ে সবটা বলতে থাকলে সে দেখে অপ্রতিমও রেখে প্রিয়ার ঘরে।

তখন শ্যামলী একটু ঘাবড়ে যায় কিন্তু প্রিয়া বলে অপ্রতিমও এখন তাকে বিশ্বাস করে। তখন শ্যামলী সবটা বলে প্রিয়া আর অপ্রতিমকে। সবটা শুনে অপ্রতিম একটা নতুন ফোন আর সিম নিয়ে চলে আসে যেটার নম্বর কারুর কাছে নেই। সেটা থেকেই শ্যামলী ফোন করে অনিকেতকে। অনিকেত ফোন ধরলে প্রথমে শ্যামলী কেটে দেয় কিন্তু সকলে বললে সে ফোন ধরে অনিকেতের। অনিকেত তিস্তা ভেবে কথা বলতে থাকে শ্যামলীর সঙ্গে এবং অনিকেত তাকে দেখা করত বললে সে হু করে দেয়। কিন্তু সেটা শুনেই সবাই চলে যেতে চায়।

তখন শ্যামলী বলে তাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে তখন প্রিয়া আর অপ্রতিম শ্যামলীকে নিয়ে চলে যায় ঠাম্মির ঘরে। সেখানে ঠাম্মিকে সবটা বললে তিনি বলে শ্যামলী দেখা করবে তবে অন্য রূপে। তখন তিনি শ্যামলীকে শহরের মেয়েদের মতো পোশাক পড়া, শ্যামলীকে খাওয়া, কথা বলা সেখান। স্মার্টভাবে হাঁটা সেখানে যখন তিনি শ্যামলীর মাথায় বই চাপান তখনই ওষুধ নিয়ে তার ঘরে চলে আসে অনিকেত। সে দরজা ধাক্কালে ঠাম্মি গিয়ে দরজা খোলেন।

আরো পড়ুন: অসভ্য! পুত্র নয়, কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে পর্ণাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেবে কৃষ্ণা! নিম ফুলে উত্তেজনা

শ্যামলীকে এইভাবে দেখে অবাক হয় অনিকেত। সে বলে কারণ জিজ্ঞাসা করলে ঠাম্মি বলে শ্যামলীর ঘাড়ে ব্যাথা করছিল তাই তিনি বলেছেন এইভাবে দাঁড়াতে। তখন। অনিকেত ঘরে ঢুকে শ্যামলীর মাথা থেকে বইগুলো নামায় এবং বলে শ্যামলীর প্রেসার ফল্ট করে গেলে। তারপর সে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় শ্যামলীকে এবং তার প্রেসার দেখে বলে সবার সবটা খেয়াল রাখে শ্যামলী কিন্তু নিজের খেয়াল রাখতে জানে না। অনিকেতের শ্যামলীর প্রতি এতটা যত্নশীল হতে দেখে অবাক হয়ে যায় সকলে। তাহলে কি এবার তিস্তার দেখা পাবে অনিকেত?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।