জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র মেঘ, নীল এবং ময়ূরী। তাদের মধ্যেই ময়ূরী এবং মেঘের পিতার নাম অনিন্দ্য রায়। ধারাবাহিকে তার চরিত্রটি পার্শ্ব চরিত্র হলেও তার চারিত্রিক গুণাবলী সর্বদাই নজর কেড়েছে দর্শকদের। তার সত্যের সঙ্গে থেকে কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব সর্বদা অন্যায়ের বিরোধিতা করা মন জয় করেছে দর্শকদের।
ময়ূরী তার বড় মেয়ে হওয়ার শর্তেও তিনি কখনই তাকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেননি। মেঘের ক্ষেত্রেও তিনি যেমন বাবা হওয়ার কর্তব্য পালন করেছেন তেমনই তার বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীর মতো তাকে সঠিক পথটা বেছে দিয়েছেন তিনি। এমনকি নীল এবং তার পরিবারও যখন বারবার মেঘকে কষ্ট দিয়েছে হেনস্থা করেছে সেই পরিস্থিতিতেও তিনি হাত ছাড়েননি মেয়ের।
প্রত্যেক মানুষের যে বাঁচার সমান অধিকার আছে, ত্যাগ স্বীকার করে বা যেকোনো পরিস্থিতিতে একজন মেয়ে মাথা নিচু করতেই সমাধান হয়। তাদেরও মাথা উচু করে বাঁচার অধিকার আছে সবটাই তিনি শিখিয়েছেন মেঘকে। একটা মেয়ের বাবার বাড়ির যে তার নিজের বাড়ি সে সেখানে একেভাবে থাকতে পারে এটা প্রমাণ করেছেন অনিন্দ্য বাবু সমজের কুকথা, কুমন্ত্রণা, নানান লাঞ্চনীয় কথা শুনেও তিনি ছেড়ে দেননি মেয়ের হাত।
একটা মেয়ের বিয়ে ভেঙে গেলেই যে তার জীবন শেষ হয়ে যায়না, বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও মেঘকে নতুন করে বাঁচতে শেখানো, গান তার ভবিষৎ বুঝে তাকে গানের জগতে প্রতিষ্ঠা করা সবটাই করেছেন তিনি। এমনকি যখন তিনি বুঝতে পারলেন মেঘ নীলকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না, তখন সব অভিমান ভুলে নীলকে আপন করেছেন তিনি। মেঘকে হত্যা করার পরিকল্পনা করার জন্য ময়ূরীকে জেলে পাঠাতেও দ্বিধা বোধ করেননি তিনি। তবে পরে তাকে একজন পিতার মতোই ভালো হওয়ারও উপদেশ দিয়েছেন।
তাই অনেকেই মনে করছেন তারই এবার জি বাংলার সোনার সংসারে সেরা পিতার পুরস্কারটি পাওয়া উচিত। অনেক নেটিজেন এটাও বলেছেন যে যদি তাকে এই পুরস্কারটি না দেওয়া হয় তবে সেটা ভীষণ অন্যায় হবে। কারণ সত্যিই তিনি একজন অনবদ্য এবং আদর্শ পিতার সঠিক দৃষ্টান্ত।