জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে (Jagaddhatri) ফিরে এসেছে জগদ্ধাত্রী এবং কৌশিকী মুখার্জী।কৌশিকীকে তার কোম্পানির চেয়ারে বসিয়ে উৎসব আর বৈদেহি মুখার্জীকে ধরে ইনভেস্টিগেশন ঘরে নিয়ে আসছে জ্যাস। জ্যাসের সঙ্গে সেখানে চলে আসে স্বয়ম্ভু, সাধুদা সহ বাকি অফিসাররা। তারপরই উৎসবকে প্রশ্ন করতে থাকে জগদ্ধাত্রী। তার সবটা স্বীকার করে নিতে বলে সে।
কিন্তু বৈদেহী মুখার্জী বা উৎসব মুখার্জী কেউই কিছু স্বীকার করছি না। বৈদেহী মুখার্জী তখন জ্যাস বলে সে একজন ঠকবাজ। সে তাদের কোনও দিনও জানায়নি সে কি করে এমনকি সে তার মৃত্যুরও মিথ্যে নাটক করেছিল। সে কথা শুনে সাধুদা রেগে গিয়ে বৈদেহী মুখার্জীকে বলে “আপনি ভুলের এইসব কথা বলবেন না জ্যাস আমাদের ডিপার্টমেন্টের একজন অন্যতম সদস্য। আপনি হয়তো জানেন না ওর হাতে কত ক্ষমতা আছে।
সেই কথা শুনেই চুপ হয়ে যায় বৈদেহি মুখার্জী। উৎসব তখন উকিলের জন্য চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী তাকে ধমক দিয়ে বলে বেশ চিৎকার করতে না কোনও উকিলই তাদের কেস নেবে না। কৌশিকী মুখার্জীও বলে ওঠে মহাভারতে সম্পত্তি নিয়ে যে লড়াইটা হয়েছিল এখন সেটা মুখার্জী বাড়িতে হচ্ছে আর তার জন্য দায়ী উৎসব এবং বৈদেহি মুখার্জী নিজে। তার তিনিই শুরুর থেকে এইটা চেয়ে এসেছেন।
উৎসব তখন বলে তারা কিছুই করেনি তখন জগদ্ধাত্রী বলে তাহলে তো তোমরা উপল মিত্রকেও চেন না। সেই কথা শুনে ঘাবড়ে যায় বৈদেহি। তিনি বলেন এই নামে তিনি কাউকে চেনেন না। তখনই উপল মিত্রকে নিয়ে আসে জগদ্ধাত্রী তাকে দেখে উৎসব মুখ লোকাতে থাকে। তাকে জগদ্ধাত্রী জিজ্ঞাসা করে এই লোকটাকে সে চেনে কিনা তখন উপল অস্বীকার করে। কিন্তু পরে উপলকে তাদের ওই রেকর্ড করা ভিডিওটা দেখায় জগদ্ধাত্রী।
তিনি চিনতে পে যায় উৎসবকে তিনি উৎসবের কলার ধরে বলেন “এই উৎসব মুখার্জী আমি বলেছিলাম না আমি মানুষ খুনি করি না তাও তুই আমার সঙ্গে এরকমটা করলি কেন।” তখন উত্তেজিত হওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে উপল। তাকে সামলে নেয় স্বয়ম্ভু। তারপর জগদ্ধাত্রী বলে তাদের খেলা শেষ। ওদিকে দিব্যা সেনের অফিসে তিনি একজনকে বলছিলেন খবর লিখতে যে কৌশিকী মুখার্জী চেয়ারে বসল মেহেন্দি আর উৎসব কিন্তু তখনই সেখানে চলে আসে মেনন।
সে বলে মেহেন্দি বা উৎসব নয় কৌশিকী মুখার্জী ফিরে এসেছে আর সঙ্গে জ্যাস সান্যাল। কিন্তু সেই কথায় বিশ্বাস করে না দিব্যা। আর সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে উৎসবকে সেও তাকে জানায় কথাটি সত্যি কিন্তু তখন সাধুদা উৎসবের হাত থেকে ফোন করে নিয়ে বলেন এখন উৎসব নয়, উৎসবের উকিলের সঙ্গে কথা বলতে হবে তাকে। এটা শুনে ঘাবড়ে যায় দিব্যা। তাহলে এবার কি শাস্তি পাবে উৎসব আর বৈদেহী মুখার্জী। কি করবে এখন দেবুদা, মেহেন্দি আর দিব্যা তাদের ছাড়াতে?